বিধ্বস্ত এমবাপ্পেদের স্বাগত জানাল ৫০ হাজার মানুষ

সংগৃহীত ছবি

বিধ্বস্ত এমবাপ্পেদের স্বাগত জানাল ৫০ হাজার মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

টানা দ্বিতীয় শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে কাতারে পা রেখেছিল ফ্রান্স। সে পথে ঠিকঠাকই এগিয়ে গিয়েছিল ফরাসিরা। নায়ক হতে পারতেন কিলিয়ান এমবাপ্পে-অলিভিয়ার জিরুরা। তবে শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সহায় হয়নি।

২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পরও প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিলেন এমবাপ্পে। হ্যাটট্রিক করে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে রেখেছিলেন দলকে। কিন্তু পেরে উঠেননি। শিরোপার খুব কাছে গিয়েও টাইব্রেকে ৪-২ গোলে হারতে হয়েছে তার দলকে।
সে কারণেই দুঃখটা আর সবার থেকে একটু বেশি তারই।  

হারের পর দেশে ফিরেছে ফ্রান্স। যেখানে বিধ্বস্ত এক ফ্রান্স দলকেই দেখা গিয়েছে। টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ৮ গোল দিয়ে গোল্ডেন বুট জিতলেও সেটি এমবাপ্পের মুখে হাসি এনে দিতে যথেষ্ট ছিল না। এমবাপ্পেকে দেখে অনন্ত সেটেই মনে হয়েছে। বিশ্বকাপ খুইয়ে হৃদয় ভেঙেছে তার।

টানা দ্বিতীয় শিরোপা উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল প্যারিসের মানুষ। এমবাপ্পে-গ্রিজম্যানদের বরণ করে নিতে ছিল নানা পরিকল্পনাও। ফাইনালে জিতবে ফ্রান্স; ধারণা করা হয়েছিল এমনটাই। টুর্নামেন্টে যেভাবে পারফর্ম করেছে দিদিয়ের দেশমের দল। সাহসী না হয়ে উপায় ছিল না ফরাসিদের। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি। ২৩ বছর বয়সেই ইতিহাসের অন্যতম নায়ক হওয়া হয়নি এমবাপ্পের। তবে যেভাবে একাই লড়ে গেছেন এমবাপ্পে। তাতে কাতার বিশ্বকাপ না জিতেও তিনি নায়ক হয়ে থাকবেন ফুটবল প্রেমীদের মাঝে। সে কারণেই হয়তো দুঃখটা এমবাপ্পেরই বেশি।

তবে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরতে না পারলেও প্যারিসে এমবাপ্পেদের বরণ করে নিতে আয়োজনের কমতি ছিল না। এমবাপ্পেদের সংবর্ধনা দিতে প্যারিসের প্লেস দে লা কনকর্ডে জড়ো হয়েছিল ৫০ হাজার মানুষ। এ সময় জাতীর বীরদের শুভকামনা জানিয়েছে দেশটির হাজারো মানুষ।

প্যারিসে তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে কয়েক হাজার মানুষ প্লেস দে লা কনকর্ডে জড়ো হয়েছিল এক নজর এমবাপ্পে, গ্রিজম্যানদের দেখার জন্য। সেখানেই দিদিয়ের দেশম ও  খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানান সমর্থকরা। ভক্তরা আতশবাজি পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে আনন্দ, উল্লাস করে বরণ করে নেয় ফুটবলারদের। ডি ক্রিলনের বারান্দায় উপস্থিত হয়ে ভক্তদের সাথে উদযাপনে সামিল হন রানার্স আপ দলের সবাই।

news24bd.tv/আমিরুল