মিয়ানমারের ঘটনায় শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বললেন ভারতের অজিত দোভাল

অজিত দোভাল--ফাইল ছবি।

মিয়ানমারের ঘটনায় শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বললেন ভারতের অজিত দোভাল

অনলাইন ডেস্ক

অজিত দোভাল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা। গত সপ্তাহে ঢাকা সফরে এসেছিলেন। এখন ভারতেই।

ফিরতে না ফিরতে  মিয়ানমারে উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতিতে ওখানকার সেনারা বাংলাদেশে প্রবেশ করায় উদ্বিগ্ন ভারত। তিনি ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। মঙ্গলবার(৬ ফেব্রুয়ারি)  এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

বাংলাদেশ এবং ভারত— দু’দেশেরই দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে।

বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২৮৩ কিলোমিটার এবং ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার।
ফলে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে আলাপ হয়েছে এ দুজনের মধ্যে বলে জানা গেছে।  
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গত ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। তবে এই লড়াই নতুন গতি পেয়েছে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্র অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।
পরে ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএফ)। জোটভুক্ত ৩টি গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এই সংঘাতের নেতৃত্বে রয়েছে। এই তিন শক্তির জোটকেই বলে থ্রি ব্রাদারহুড এ্যালায়েন্স।  
জানা যায়, এই থ্রি ব্রাদারহুড এ্যালায়েন্সকে অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য করছে চীন।  চীন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রতি তাদের সমর্থন ফিরিয়ে নিয়েছে বহু আগে।  

আরও পড়ুন : মিয়ানমারের সৈন্য নৌপথে ফেরানোর কথা ভাবছে সরকার

আরও পড়ুন: চীনকে চ্যালেঞ্জ করে শ্রীলঙ্কায় ভারতের সাবমেরিন, নজর বাংলাদেশ সীমান্তেও

news24bd.tv/ডিডি