অনলাইনে দাবা খেললেন ব্রেইনে প্রথম চিপ বসানো রোগী  

সংগৃহীত ছবি

অনলাইনে দাবা খেললেন ব্রেইনে প্রথম চিপ বসানো রোগী  

অনলাইন ডেস্ক

ব্রেইন চিপ বসানো প্রথম রোগী নোল্যান্ড আরবাঘ সফলভাবে অনলাইনে দাবা খেলার সক্ষমতা অর্জন করেছেন বলে দাবি করেছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন কোম্পানি নিউরালিংক। এ ঘটনা ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং করা হয়। খবর রয়টার্সের।

এর আগে ভাবনা দিয়েই প্রথমবারের মতো কম্পিউটারের মাউস নিয়ন্ত্রণের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ ৯ মিনিট দীর্ঘ এক ভিডিও’তে দেখা গেছে, অনলাইনে দাবা খেলতে তিনি একটি মাউসের কার্সর ব্যবহার করছেন।

এক গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন নোল্যান্ড আরবাঘ। পরবর্তীতে তার কাঁধের নিচের অংশ প্যারালাইজড হয়ে যায় ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিজের মস্তিষ্কে নিউরালিংকের চিপ বসানোর সুযোগ পান তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে স্ট্রিম করা ভিডিওতে অরবাঘ বলেন, ‘চিপ স্থাপনের অস্ত্রোপচারটি অত্যন্ত সহজ ছিল।

একদিন পরই হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম। আমার কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা নেই। ’

নিউরালিংকের লক্ষ্য, বিভিন্ন জটিল স্নায়বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়ক হিসেবে কম্পিউটারের সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্কের সংযোগ ঘটানো।

ইলন মাস্ক ২০২৩ সালে জানিয়েছিলেন নিউরালিংক চিপ প্রথমবারের মতো একজন মানুষের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হয়েছে। মস্তিষ্কে চিপটি স্থাপন করার পর তিনি আশানুরূপভাবেই সেরে উঠছেন। মানব মস্তিষ্কের নিউরনের সঙ্গে ভালোভাবেই কাজ করছে নিউরোলিংকের চিপ। এরপর এ বছরের জানুয়ারিতে মাস্ক জানান, নিউরালিংকের চিপের সাহায্যে মানুষ নিজের চিন্তাভাবনা ব্যবহার করে একটি কম্পিউটার মাউস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।  

নিউরালিংক চিপ হলো এক ধরনের ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস, যা মস্তিষ্কের তরঙ্গ শনাক্ত করে এবং ডিকোড করতে পারে। এই চিপটি মস্তিষ্কের সঙ্গে তারযুক্ত ইলেকট্রোড ব্যবহার করে। ইলেকট্রোডগুলো মস্তিষ্কের কোষ থেকে সংকেত গ্রহণ করে এবং সেগুলোকে ব্লুটুথের মাধ্যমে একটি ডিভাইসে পাঠায়।

২০২৩ সালের মে মাসে নিউরালিংককে মানুষের উপর চিপ পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছিল মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।

news24bd.tv/DHL