ইন্টার্ন চিকিৎসদের হাতে ১০ বছরে শতাধিক রোগী লাঞ্ছিত
রাজশাহী মেডিকেলে

ইন্টার্ন চিকিৎসদের হাতে ১০ বছরে শতাধিক রোগী লাঞ্ছিত

কাজী শাহেদ, রাজশাহী থেকে:

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসদের হাতে গত ১০ বছরে রোগী ও তার স্বজনদের লাঞ্ছিত হওয়ার শতাধিক ঘটনা ঘটেছে।  

আরও পড়ুন:


ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা ঘটনায় চার আসামি আটক


বুধবার স্ত্রীর মরদেহ ওয়ার্ডে রেখে মারধর করা হয়েছে এক মুক্তিযোদ্ধাকে। এরপর ছেলেকে তুলে দেয়া হয় পুলিশের হাতে। এটিকে চরম অমানবিক বলছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন:


'ইউএনও'র ওপর হামলার ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে'


মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক আলীর স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালের ওয়ার্ডে। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মারধর করেছে মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলেকে। এরপর ছেলেকে তুলে দেয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। এমন ঘটনা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের।

গত বুধবারের ঘটনায় আবারো আলোচনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ইন্টার্ন চিকিৎসদের এমন আচরণকে চরম অমানবিক বলছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন:


ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় ওবায়দুল কাদেরের দুঃখ প্রকাশ


নাগরিক সুশাসনের সভাপতি আহমদ শফি উদ্দিন বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ বছর ধরে চলছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দৌরত্ম। কথায় কথায় রোগী ও স্বজনদের মারধর, হুমকি আর চলে কর্মবিরতি। প্রবেশ করতে দেয়া হয় না গণমাধ্যমকর্মীদের। রীতিমতো হাসপাতালে ত্রাসের রাজত্ব ইন্টার্নদের।

রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাকে আটকে মারধরের ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে কর্তৃপক্ষ। আর চিকিৎসক নেতারা বলছেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া এই সমস্যার সমাধান হবে না।

আরও পড়ুন:


‘দেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না’ কথাটি আমি কোন চিন্তা থেকে বলিনি


স্বাচিপ রাজশাহী'র সভাপতি ডা. চিন্ময় কান্তি বলেন,গত ১০ বছরে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে রোগী ও তার স্বজনদের লাঞ্ছিত হওয়ার শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। কমিটি হলেও ইন্টার্নদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো নজির নেই।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল