করোনাতেও থেমে নেই মাদক। সচল সব রুট। কৌশল বদলাচ্ছে কারবারিরা। নৌপথ, ট্রেনে, বাসে ঢাকায় মাদক আনছে জড়িত প্রভাবশালীরা।
বিমানবন্দর ব্যবহার করে, আন্তর্জাতিক রুটে চেষ্টা চলছে মাদক চোরাচালানের। মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে, আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসও।বিশ্লেষকদের অভিযোগ, সীমান্তে নজরদারির অভাব রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, জিরো টলারেন্স নীতির কারণে, কোনঠাসা মাদক কারবারিরা।
মাটির নীচে মাদকের খনি। খুব বুদ্ধি করেই, মাদক ব্যবসায়ীরা ফেন্সিডিলগুলো, গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য, সংরক্ষণ করেছে মাটির নিচে।
ইয়াবা চোরাকারবারিরা আরো একধাপ বেশি বুদ্ধিমান। তারা গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে, বিশেষ কায়দায় ইয়াবা বহন করে। চোরাকারবারিরা নতুন নতুন পন্থা আবিষ্কারে ওস্তাদ। গাড়িতে বিশেষ চেম্বার করেও ইয়াবা চোরাচালানের চেষ্টা করছে তারা।
বাংলাদেশ মাদক উৎপাদক দেশ নয়। ইয়াবা মূলত, মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার, টেকনাফ উখিয়া হয়ে ঢাকায় আসে। আর ফেন্সিডিল ভারত থেকে উত্তরবঙ্গ ও আখাউড়া হয়ে ঢোকে ঢাকায়।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনাকালে সব থমকে গেলেও মাদক চোরাচালানে খুব একটা ভাটা পড়েনি। ২০১৯ ও ২০ সালের মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মাদকের পরিমান প্রায় একই।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প হাসপাতালে ভর্তি
সম্প্রতি, একটি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসকে ব্যবহার করে, বিমানবন্দর দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বিপুল পরিমান এমফিটামিন পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে একটি চক্র। এই বাস্তবতায়, বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, মাদক চোরাচালানে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে মরিয়া আন্তর্জাতিক মাফিয়ারা।
এই বাস্তবতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলছেন, অভিনব পন্থায়, চোরাচালনকারীদের ঠেকাতে তারা তৎপর। পাশাপাশি, চোরাকারকারিদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ।
news24bd.tv সুরুজ আহমেদ