একদিকে হকার অন্যদিকে অবৈধ সিএনজি পার্কিং থাকায় মূল সড়ক সংকোচিত হয়ে ট্রেন চলাচলে বিপজ্জনক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আর এভাবে বছরের পর বছর চলছে রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ রেলগেটগুলোর একটি জুরাইন রেলগেট।
এখানে যান চলাচলেও নেই কোনো শৃঙ্খলা। রেললাইনের দুই পাশে অবৈধ সিএনজি ও অটোরিকশার স্ট্যান্ড বানিয়ে রাজস্ব আদায় করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
অভিযোগ রয়েছে, এই রেলগেইট ঘিরে প্রভাবশালী মহলের কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্যে, নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এবং রেললাইনের দুই পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাজার। এর মধ্য দিয়ে চলছে ট্রেন।
রেলের জমিতে প্রায় দেড় হাজার ভাসমান দোকান।
তবে ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা বলছেন, সব দলেরই লোকজন এখানে কিছু সুবিধা পায়। শুধু যে আওয়ামী লীগ আছে তা না। জাতীয় পার্টি বা অন্যান্য দলের লোকজনও সুবিধা পায় এখানে।
রেলওয়ের জমি দখল করে দোকান নির্মাণেই শেষ নয়, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগও দিয়ে সহযোগিতা করছে জুরাইন সিটি কপোরেশন মার্কেট কমিটি।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ বাড়ল ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত
এখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেক পোস্ট ঘিরে অবৈধ সিএনজি ও অটোরিকশার জমজমাট বাণিজ্য। প্রতিদিন কেরানিগঞ্জ থেকে আসা প্রায় ২ হাজার অবৈধ সিএনজি থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নামে ১০ টাকা আর অলিখিত ১০ টাকাসহ মোট ২০ টাকা চাঁদা আদায় হয়।
দক্ষিন সিটি তত্ত্বাবধায়ক ফরিদা ইয়াসমিন ১০ টাকা চাঁদা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করলেও ২০ টাকা চাঁদা আদায় করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
এসব হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই। অবশ্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে দাবি পুলিশের।
news24bd.tv সুরুজ আহমেদ