ব্যবসা হারিয়েছে কাগজ শিল্প, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

ব্যবসা হারিয়েছে কাগজ শিল্প, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

বাবু কামরুজ্জামান

করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং প্রযুক্তি নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ায় ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ব্যবসা হারিয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাগজ শিল্প। এমন অবস্থায় উৎপাদন নেমে এসেছে অর্ধেকে। বিপাকে পড়েছেন ছোট,মাঝারি কিংবা বড় সব শ্রেণীর কাগজ ব্যবসায়ী। এছাড়া বাজারে চাহিদার তুলনায় কাগজের যোগান বেশি হলেও বন্ড সুবিধার অপব্যবহার বন্ধ করা যায়নি বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের।

শিশুর অনাবিল আনন্দে কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দেয়ার মতোই যেন ভেসে যাচ্ছে কাগজ শিল্পের ঐতিহ্য। করোনাকালে অফিস আদালত কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তির আধিপত্য যত বেড়েছে হারিয়েছে কাগজ শিল্পের উপকরণের ব্যবহার। ফলে ক্রমেই রুগ্ন হয়ে পড়ছে কাগজ শিল্প ও এর বাণিজ্য।

news24bd.tv

নয়াবাজারের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিক্রির অবস্থা এমন যে অনেককেই বিকল্প ব্যবসারও চিন্তা করতে হচ্ছে।

বলছেন, যেখানে প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা বেচাবিক্রি ছিলো সেখানে এখন ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।

news24bd.tv

বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব বলছে, করোনাকালে কাগজ শিল্প রুগ্ন হয়ে পড়ায় এরই মধ্যে কাগজের উৎপাদন নেমে এসেছে অর্ধেকে। বিক্রি কমেছে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত। আর কাগজের দাম কমেছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। ফলে মজুদ জমে থাকলেও বিক্রি নেই। অন্যদিকে বন্ড সুবিধার অপব্যহার বন্ধ করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা।

news24bd.tv

বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক নুরুল আমিন বলেছেন, আমদানী করা কাগজের চেয়ে চোরাই কাগজের দাম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা সেগুলো কাগজ কিনছে। আর লোকশানে পড়লে উদ্যোক্তারা।


আরও পড়ুন: লাইফ সাপোর্টে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, অবস্থা ক্রিটিক্যাল


বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের হিসেব বলছে, দেশে কাগজের চাহিদা ১৫ লাখ টন। বিপরীতে উৎপাদন হয় ২০ লাখ টন। সংগঠনটির মহাসচিব মোস্তফা কামাল মহীউদ্দিন বলছেন, চরম বিপর্যয়ে থাকা মূল্য সংযোজনকারী এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে মহামারীর এই সময়ে বিশেষ নজর দিতে হবে সরকারকে।

বাংলাদেশের কাগজ রপ্তানি হয় বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশে করোনাকালে যা ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে।

news24bd.tv আহমেদ