মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স রক্ষণশীল এক কৌশলী নেতা। গত চার বছর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সুসম্পর্ক বাজায় রেখে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তাকে খুব বেশি খবরের শিরোনাম হতেও দেখা যায়নি। বরং কৌশলে বিতর্কিত বিষয় থেকে তিনি নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন।
মাইক পেন্স পুরো নাম মাইকেল রিচার্ড পেন্স। একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ, আইনজীবি, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৮তম ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট।
ইন্ডিয়ানা রাজ্যের কলম্বাস শহরে এক ক্যাথলিক খ্রিস্টান পরিবারে ১৯৫৯ সালের ৭ জুন জন্ম হয় মাইক পেন্সের। তারা ছয় ভাইবোন।
কলম্বাস, ইন্ডিয়ানায়, হেনোভার কলেজ থেকে স্নাতক সম্পূর্ণ করেন এবং ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি রবার্ট এইচ. ম্যাককিনে স্কুল অফ ল থেকে ল ডিগ্রী লাভ করেন। মার্কিন সংসদীয় আসনে লড়ছেন ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ এর মধ্যে দুইবার। তবে দুইবার তিনি পরাজিত হন। এরপর তিনি একজন রক্ষনশীল রেডিও এবং টেলিভিশন টক-শো উপস্থাপক হয়ে ওঠেন ।
কলেজে পড়ার সময় এক ইভাঞ্জেলিকাল গির্জায় ক্যারেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ১৯৮৫ সালে তারা বিয়ে করেন। এ দম্পতির তিন সন্তান মাইকেল, শার্লট এবং অড্রি।
১৯৯৯ সালে নির্বাচন করে সাফল্যের দেখা পান পেন্স। তারপর টানা ১২ বছর যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে চার বছরের জন্য ইন্ডিয়ানার গভর্নর নির্বাচিত হন মাইক পেন্স। গভর্নর হওয়ার পর, ইন্ডিয়ানা এর ইতিহাসে বড় হারে ট্যাক্স হ্রাস করা, শিক্ষা উদ্যোগের জন্য আরো অর্থায়ন কমানো যা রাষ্ট্রীয় বাজেট উদ্বৃত্ত বৃদ্ধিতে অব্যাহত রাখেন। এছাড়া নিষিদ্ধ গর্ভপাত বিল পাস করেন। সেময় থেকে একজন রক্ষণশীল রিপাবলিকান হয়ে ওঠেন।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার টিকেট নিশ্চিত করে ফেলেন ট্রাম্প। একদিন ইন্ডিয়ানাপলিসে পেন্সের বাড়িতে গিয়ে তাকে রানিংমেট হওয়ার প্রস্তাব দেন। বাড়তি পাওনা ওয়াশিংটনে তার কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, যা ট্রাম্পের একদমই ছিল না।
ট্রাম্পের অত্যন্ত আস্থাভাজন এই ভাইস প্রেসিডেন্ট, মাইক পেন্স-২০২৪ সালের নির্বাচনে পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার কেন্দ্রীয় অবস্থানেও আছেন। তবে সেই জায়গায় পৌঁছানোর আগে তাকে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে এগিয়ে নিতে হবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
news24bd.tv আহমেদ
আরও পড়ুন:
আগামি চার বছরের জন্য মার্কিন মসনদে কে বসছেন? (ভিডিও)
ব্যবসায়ী থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ট্রাম্প
মার্কিন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর স্বাস্থ্যখাত