বিপাকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০ লাখ কর্মী

বিপাকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০ লাখ কর্মী

সজল দাস

প্রতিষ্ঠান বন্ধ, বেতন হয় না প্রায় ৮ মাস। বন্ধ টিউশনও। কবে আবার স্বাভাবিক হবে সবকছু, তাও অজানা। এমনই বাস্তবতা প্রাথমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের।

আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেনে তারা।  

এই পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশনার বাইরে গিয়ে করোনা প্রেক্ষাপটের মধ্যেই শুরু করেছে শিক্ষা কার্যক্রম। কেউ কেউ চালাচ্ছে ভর্তি প্রক্রিয়া।

খোদেজা খাতুন।

২৪ বছর ধরে করছেন শিক্ষকতা। করোনা প্রেক্ষাপটে বন্ধ প্রতিষ্ঠান,বন্ধ বেতনও। জমানো টাকায় এতদিন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সংসার চলছিল কিন্তু তাও শেষ। বাধ্য হয়েই, শুরু করেছেন সেলাইয়ের কাজ।

একই অবস্থা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের। বেশিরভাগ অভিভাবক করোনা প্রেক্ষাপটে স্কুলের বেতন দিতে আন্তরিক না হওয়ায় প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে পারবেন কিনা এ নিয়ে আছেন চরম দুঃশ্চিন্তায়।

খোদেজা আর হাবিবুরের মত দেশের ৫০ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারি পড়েছেন এমন জটিলতায়।

করোনা প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ দেশের শিক্ষা কার্যক্রম। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-কর্মচারিরা। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতন ঠিক থাকলেও, আয়ের উৎস নিয়ে চরম বিপাকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধলক্ষ শিক্ষক-কর্মচারিরা। চাইছেন, সরকারের সুনজর।


আরও পড়ুন: ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচন আজ


এদিনে, এই বাস্তবতায়, ‘প্রয়োজন মানে না আইন, এই কথাটি অনেকটাই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। সরকারি নির্দেশনার বাইরে গিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। যেখানে উপেক্ষিত করোনা প্রেক্ষাপট।

এক্ষেত্রে, সন্তানের লেখাপড়া, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আর স্কুল ফি নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় অভিভাবকরা। সব মিলিয়ে, যতই সময় গড়াচ্ছে, দেশের শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের জন্য পরিস্তিতি ততই জটিল করে তুলছে করোনা পেক্ষাপট।

news24bd.tv আহমেদ