থমকে গেছে জনশক্তি রপ্তানি, কর্মহীন রিক্রুটিং এজেন্সি

থমকে গেছে জনশক্তি রপ্তানি, কর্মহীন রিক্রুটিং এজেন্সি

বাবু কামরুজ্জামান

করোনাকালে প্রায় থমকে আছে জনশক্তি রপ্তানি। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ট্রাভেল এজেন্সি ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। এছাড়াও হজ এজেন্সিদের সংগঠন হাব জানিয়েছে, মহামারীর এই সময়ে মৌসুমের ব্যবসা পরিচালনা করতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি, এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আলাদা প্রণোদনা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, শ্রমবাজারে সক্ষমতা বাড়ানোর।

বিশ্বের অন্তত ১৭০টি দেশে শ্রমিক পাঠায় বাংলাদেশ। যেখানে কাজ করছে ১ কোটি ২০ লাখের মতো শ্রমিক। যদিও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব আর মধ্যপ্রাচ্যের ৬টি দেশেই থাকে ৭৫ শতাংশ। এছাড়া মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরও শ্রমশক্তি পাঠানোর অন্যতম গন্তব্য।

news24bd.tv

তবে করোনার থাবায় গত ৭ মাসে ফেরত এসেছে ২ লাখেরও বেশি প্রবাসী শ্রমিক। একদিকে বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের ফিরে যাবার অনিশ্চয়তা অন্যদিকে নতুন করে জনশক্তি রপ্তানিতে হোচট! যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে রিক্রুটিং এজেন্সি ;ট্রাভেল এজেন্সি ও খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ওপর। এছাড়া হজ মৌসুমে ব্যবসা পরিচালনা করতে না পেরে  বন্ধ হয়ে গেছে অনেক এজেন্সি প্রতিষ্ঠান।

news24bd.tv

হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, করোনার কারণে বেশিরভাগ হজ এজেন্সি বন্ধ হয়ে গেছে। হজ এজেন্সিগুলোর সিজন লস মানে পুরো বছরটাই লোকসান। হজ এজেন্সিগুলোকে বেঁচে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানান তিনি।

অ্যাটাবের সহ-সভাপতি নির্মল চন্দ্র বৈরাগী জানান, এই সংকট মুহুর্তের সরকারি সহযোগিতা না পেলে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব না। করোনার এই কয়েক মাসে কোন প্রকার আয় না থাকায় বিপাকে সব এজেন্সিগুলো।


আরও পড়ুন: বিপাকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০ লাখ কর্মী


জনশক্তি, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ব্যুরো-বিএমইটি-র তথ্য বলছে, গত বছর মোট বিদেশে যাওয়া কর্মীর ৯০ শতাংশ গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। শুধু সৌদি আরবে গেছেন ৫৭ শতাংশ কর্মী। নতুন করে বড় কোনো শ্রমবাজার তৈরি করতে না পারায় ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে বিদেশে কর্মী পাঠানো। করোনা পরবর্তী সময়ে শ্রমবাজার চালু হলে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে থাকতে সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ খাত সংশ্লিষ্টদের।

বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন বলছেন, করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি বাজার চালুর সাথে সাথে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তা না হলে এই সমস্যা থেকে উত্তোরণ সম্ভব নয়।

বছরে গড়ে ৭ লাখ কর্মী বাংলাদেশ থেকে যায় বিভিন্ন দেশে। যার মধ্যে দক্ষ কর্মী আছে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত।

news24bd.tv আহমেদ