শুধু শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন নয়, পার্বত্য জেলাগুলোতে উন্নয়নের ব্যপক কর্মসূচী বদলে দিয়েছে এখানকার মানুষের জীবন যাত্রা। শান্তি চুক্তির ২৪ বছররের মাথায় এ অঞ্চলের উন্নয়ন ব্যায় বেড়েছে প্রায় ২৩ গুন। শিক্ষা চিকৎসার মত মৌলিক চাহিদা গুলো নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ের মানুষের কর্মসংস্থানের পরিধিও বেড়েছে বহুগুন।
১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে বিশেষ এক দিন।
এ দিন তৎকালীন সরকার এবং সরকার প্রধানের ঐকান্তিক চেষ্টায় দীর্ঘ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পথ ছেড়ে সাধারণ জীবনে ফিরে আসে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সদস্যরা। শুরু হয় শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন।গত ২৩ বছরে বাস্তবায়ন হয়েছে চুক্তির ৪৮ টি ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে পূর্ণাঙ্গ ভাবে। ১৫ টির আংশিক বাস্তবায়ন এবং বাকী ৯টি বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং জানান, প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন সেটি সকলে মিলে বাস্তবায়ন করে আগামি প্রজন্মের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে যাব।
গত ২৩ বছরে এখানকার উন্নয়ন বরাদ্দ মাত্র ৪৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ শ কোটি টাকা। দুর্গম পাহাড়ে নির্মাণ হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পাকা সড়ক। উদ্বোধনের অপেক্ষায় পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর স্বপ্নের চেঙ্গি সেতু। আগামী বছর চালু হবে ৩১৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক।
আরও পড়ুন: করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসছেন শীর্ষ আলেমরা
বীর বাহাদুর আরো জানান, সকলে মিলে একটি সুন্দর দেশ গড়তে হবে। এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
গত ২৩ বছরে ৫০ শরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ হওয়ায় শিক্ষার হার ২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৫ শতাংশ। ক্ষৃদ্র নৃ গোষ্ঠীর শিশুরা শিক্ষা নেয় নিজ মাতৃভাষায়।
দুর্গম পাহাড়ে সোলারের মাধ্যমে জ্বলছে আলো। মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাওয়া ইন্টারনেট সেবায় পাহাড়ী জনগোষ্ঠী নির্জন প্রান্তে বসেই যুক্ত হচ্ছেন সারা পৃথিবীর সঙ্গে।
news24bd.tv আহমেদ