আমাদের মত নাতিশীতোষ্ণ দেশে শীতের প্রভাব তেমন বেশি না। দুই তিন মাস যা শীত থাকে তাতে কষ্ট না হয়ে বরং শীতের আমেজ উপভোগেই আমাদের ভাল কাটে।
তবে শীতের সময় মানুষের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম ওজন বেড়ে যাওয়া।
শীতকালে অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায়। বিভিন্ন রকম হোটেলেও নতুন নতুন দেশী-বিদেশী খাবারের বাহারি আয়জন থাকে, যার ফলে মানুষের ভারী খাবার খাওয়া বেড়ে যায়। উষ্ণ খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে এবং সেই সঙ্গে আমাদের মেজাজকেও ভালো রাখে। তবে অতিরিক্ত কার্বন এবং চর্বিযুক্ত খাবারে বিপদ রয়েছে।
ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সত্যিকার অর্থে শীতের সময় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে হরমোনগুলো সাধারণত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। হরমোন নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত চেক-আপ করতে হবে।
শীতের শুরু হওয়ার সাথে সাথে শরীরে যেন অলসতা ভর করে। আগে ভোরে ঘুম থেকে উঠে দিন শুরু করলেও শীতে তা হয় না। একটু দেরি করেই দিন শুরু করেন সবাই। এটি একটা বড় ভুল যার কারণে আপনার ওজন বাড়ে যায়।
ভারতের কৃষকরা আইন বাতিলের দাবিতে এখনো অনড়
সেই সঙ্গে শারীরিক পরিশ্রম তো কমেই যায় কিছুটা। অনেকে ঠাণ্ডার কারণে হাটা, জগিং করে না ঠিক মত। এতে করে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে যে ক্যালোরি যোগ হয় বা বার্ণ হয় না। ফলে তা ফ্যাট আকারে শরীরে জমা হয়।
শীতকালে হাইড্রেট থাকাই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই সময়টা শরীর সুস্থ রাখতে দিনে ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন। কারণ পানির অভাবে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয় আর ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর দুর্বল লাগে ও ক্ষুধা বাড়ে।
সূর্যের আলোর অভাবে বেশিরভাগ মানুষ সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডারে ভোগে। এর ফলে মানুষ অনেক সময় বেশি খেয়ে থাকে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকে যা অস্বাস্থ্যকর জীবন পরিচালিত করে। এতে করে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওজন বাড়ে। এই সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে, যখনই সম্ভব সূর্যের আলোতে কিছুটা সময় ব্যয় করার চেষ্টা করতে হবে সবার।
news24bd.tv/আয়শা
