উৎপাদন খরচের চেয়ে ওষুধের দাম অনেক বেশি

Other

লিভারের রোগের একটি ওষুধের উৎপাদন থেকে বাজারে আসা পর্যন্ত খরচ মাত্র ১০ টাকা। কিন্তু ক্রেতাদের সেই ওষুধ প্রায় পাঁচগুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে , ৪৮ টাকায়। শুধু তাই নয়, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ও হার্টের ওষুধও উৎপাদন খরচের চেয়ে, ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।

বছরের পর বছর, ভোক্তারা এমন বাড়তি দামের যাঁতাকলে পিষ্ট হলেও, যেন দেখার কেউ নেই।

বিশেষজ্ঞর বলছেন, ওষুধ কোম্পানিগুলোর স্বার্থরক্ষার নীতিমালার জন্য, দাম নিয়ন্ত্রণহীন আর জিম্মি রোগীরা।

ওষুধ, আর দশটা নিত্যপয়োজনীয় পণ্যের মত নয়। সামর্থ্য থাকুক বা না থাকুক, রোগ মুক্তিতে ওষুধ অপরিহার্য্য। উন্নত দেশে চিকিৎসা ব্যয়ের সিংহভাগই বহন করে রাষ্ট্র।

সরকারি তথ্যমতে বাংলাদেশে ৬৭ শতাংশ চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হয় নাগরিককে। যার বেশিরভাগই ওষুধ কেনায় খরচ হয়।


যে জায়গায় মিল পাওয়া গেছে বুবলী-দীঘির

সোনালির প্রেমে পড়ে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন যেসব তারকারা

পুলিশ হেফাজতে আইনজীবীর মৃত্যু: বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

ভাসানচরে যাচ্ছে দুই হাজারের বেশি রোহিঙ্গা


১৯৯৪ সালের নীতিমালা অনুযায়ী মানুষের অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধ হিসেবে ১১৭টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ওষুধ বিক্রি করেও ১১৭টি পণ্যে লাভ করছে কোম্পানিগুলো। এর বাইরেও দেশের বাজারে ওষুধ উৎপাদন হয় সাড়ে পনেরশো জেনেরিকের ৩৪শ ব্র্যান্ডের ওষুধ। যেগুলো বাজারমূল্য পুরোটাই ঠিক করে উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো।

কোম্পানিগুলোর উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজারমূল্যের পার্থক্যে দেখা যায় লিভারের ওষুধ এনটেকেভিয়ারের কাঁচামাল ৬ টাকা ১২ পয়সা,প্যাকেজিং ৬৩ পয়সার সঙ্গে উৎপাদন খরচ যোগ করে সবমিলিয়ে ১০ টাকার ওষুধ প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে বাজার মূল্য ৪৮ টাকা। একইভাবে কোলেস্টেরলের ওষুধ রসুভাসটাটিনের উৎপাদন খরচ ৪ টাকা হলেও বাজারমূল্য ৩০ টাকা। ডায়াবেটিসের এমফাগ্লিফ্লোজিন, হার্টের ওষুধ ক্লোপিডোগ্রিলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রোগের ওষুধ বাজারে বিক্রি হচ্ছে চার থেকে পাঁচগুণ বেশি দামে।

ওষুধের এমন অনিয়ন্ত্রিত দামের জন্য সংশোধিত ওষুধ নীতিমালাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকার নিয়ন্ত্রিত অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা বাড়ানোর পাশাপাশি হাসপাতাল কেন্দ্রিক ওষুধ কেনাকেটার ব্যবস্থা করার আহ্বান ওষুধ বিশেষজ্ঞদের।
news24bd.tv আয়শা