কোভিডের শুরুতে বাংলাদেশে এর নির্মমতার শিকার হয়েছেন মূলত উচ্চবিত্ত, শিক্ষিত মানুষেরা। এখন কি মধ্যবিত্তরা এর শিকার হচ্ছেন বেশি! সুনির্দিষ্ট ভাবে এই ধরনের উপসংহারে আসাটা একটু কঠিন। তার প্রধানতম কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত ডাটার ঘাটতি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই কোভিডে আক্রান্তদের নিয়ে নানা ধরনের বিশ্লেষণ হয়েছে -কোন বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন, এলাকাভেদে কোনো তারতম্য হচ্ছে কী না, নারী পুরুষ কিংবা বয়সভেদে রকমফের হয় কী না- কতো ধরনের সমীক্ষা যে হচ্ছে তার ইয়ত্তা নাই।
অর্থনৈতিক সক্ষমতা তথা শ্রেনীভেদে কোভিডের সংক্রমণের হারটা নিয়ে প্রায় সবদেশেই কোনো না কোনো সমীক্ষা হয়েছে।বাংলাদেশে সবসময়ই বলা হয়েছে- গ্রামের মানুষ, বস্তিবাসী বা শ্রমিক শ্রেনীর মধ্যে কোভিডের সংক্রমণ সেই অর্থে নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক শিক্ষিত মানুষেরা এমনকি সাংবাদিকদের অনেকেও এ নিয়ে অহংকার প্রকাশ করেছেন।
রাতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার প্রেমিকা
ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করলো ভাসুর!
কিশোরকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী!
অশ্লীল ভিডিও চ্যাটিং ইসলামে ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত
কোভিডের এই পর্যায়ে এসে এইসব হিসাব নিকাশ, অহংকার কি ভুল হিসেবে চিহ্নিত হবে! সুনির্দিষ্ট ডাটা না থাকলেও, ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন- বাংলাদেশে এখন মধ্যবিত্তরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
কোভিডের বর্তমান চিত্রটা বিশেষ করে সংক্রমণের হারটা ‘আমরা কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি’ জাতীয় আত্ম তৃপ্তিকে অবশ্যই চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। গত কয়েক দিনের হেফাজতের আন্দোলনে জনসমাগম ‘আগুনে ঘি ঢালার মতো’ কোভিডের সংক্রমণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে কীনা সেটি কখনোই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। প্রয়োজনীয় টেষ্ট আর ডাটার অভাবেই সেই তথ্যটা সামনে আসবে না। কেউ কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়ার লোকেরও অভাব হবে না। ঢাকার বই মেলাকেও এর সাথে আলোচনায় রাখতে হবে।
এক বছরের বেশি সময় পর, ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবার পর পশ্চিমা অনেক শক্তিশালী দেশই নতুন করে নিজেদের আতংকের কথা প্রকাশ করে ফেলেছেন। হোয়াইট হাউজে গতকাল সোমবার যে ব্রিফিংটা দেয়া হয়েছে, সেখানে মার্কিন শীষৃষ কর্তাদের যে আতংক আর অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে-সেটির দিকে চোখ রাখলেই তো পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন সহজ হয়ে যায়।
শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ
news24bd.tv/আয়শা