সরকার আগে কোন সংকটে পড়লে, তখনই জঙ্গি নাটকের দেখা মিলতো

সরকার আগে কোন সংকটে পড়লে, তখনই জঙ্গি নাটকের দেখা মিলতো

Other

হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবাল হোসেন রিমান্ড শেষে অসুস্থ হলে আজ হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। এধরনের মৃত্যুকে আমরা ‘কাষ্টাডিয়াল ডেথ’ বা পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু বলেই জানি।  
  
সুপ্রিমকোর্ট সেই কবে রিমান্ডে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন বন্ধে নির্দেশনা জারী করেছে।

সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশনাগুলো একেবারেই চুড়ান্ত। কেননা তা আপিল বিভাগেও বহাল। এই নির্দেশনাগুলোর ব্যতিক্রম আদালত অবমাননার শামিল। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের কারোই যেন কোন মাথাব্যথা নেই।
 

একই রকমের ঘটনা চলছে। অবিরত চলতেই আছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে আটক লেখক মুশতাক আহমেদ কাশিমপুর কারাগারে অসুস্থ হলে তিনিও এভাবেই হাসপাতালে মারা যান। সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে পুলিশি নির্যাতনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় রায়হান আহমদকে। কোন ওয়ারেন্ট কিংবা কোন পরিচয়পত্র না দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ১০ মাস কারাগারে আটকে রেখে পুলিশি পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় কার্টুনিস্ট কিশোরকে।  

সরকার আগে যখনই কোন সংকটে পড়ত। তখনই নিত্যনতুন জঙ্গি নাটকের দেখা মিলতো। আর এখন দেখা শুরু হয়েছে আলেমের মৃত্যু সংবাদের। যেহেতু মৃত্যুটি পুলিশি হেফাজতে হয়েছে। তাই সরকারের উচিত হবে। অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা। সেইসাথে সকল ধরনের ‘কাষ্টাডিয়াল ডেথ’ ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ করা। সরকারকে ভুললে চলবে না। পুলিশি রিমান্ডে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাগুলোর এহেন যথেচ্ছাচার অবমাননা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি হুমকীস্বরুপ।

লেখক : আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ।

news24bd.tv/আলী