মেয়েরা বেশি কাঁদে। কথাটা কিন্তু কতটা বেশি কাঁদে? এর কারণটাই বা কী? এ নিয়ে নতুন গবেষণা করেছেন এক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী। তাঁর অভিমত, মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ধরে কাঁদে। এর পেছনে লিঙ্গভেদে হরমোনের প্রভাব যেমন রয়েছে, তেমনই সামাজিক কারণও অনেকটা দায়ী।
নেদারল্যান্ডসের টিলবার্গ ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির অধ্যাপক অ্যাড ভিঙ্গারহোটস নারী-পুরুষের কান্না নিয়ে লিখেছেন, 'হোয়াই ওনলি হিউম্যানস উইপ : আনর্যাভেলিং দ্য মিস্ট্রি অব টিয়ারস'। তিনি ৩৭টি দেশের পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারভিত্তিক গবেষণার পর বইটি লিখেছেন। তিনি জানান, মেয়েরা বছরে কম করে হলেও ৩০ বার কাঁদে। সেটা ৬৪ বার পর্যন্ত গড়াতে পারে।
লিঙ্গভেদে কান্নার কমবেশির জন্য পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে প্রোল্যাকটিন হরমোন নিঃসরণের ভূমিকার কথা আরো আগেই বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এসেছে। আবেগের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রোল্যাকটিন নিঃসরণের পরিমাণ মেয়েদের মধ্যে ছেলেদের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অশ্রু ধারণকারী নালি তুলনামূলক বড় হওয়ায় ছেলেদের অশ্রু ওই নালি ভর্তি হওয়ার পর উপচে বাইরে আসতে সময় বেশি লাগে। সেটাও একটা কারণ বটে। সামাজিক কারণও বের করেছেন অধ্যাপক ভিঙ্গারহোটস। তাঁর মতে, মেয়েরা অশ্রু উদ্রেককারী অনুষ্ঠান বেশি দেখে এবং এ ধরনের বইও বেশি পড়ে। গবেষকের পরামর্শ, যে কারণেই মেয়েরা বেশি কাঁদুক না কেন, তাদের সেই কান্না প্রায়ই এর সঙ্গীর বিরক্তির কারণ হয় এবং সে ক্ষেত্রে ছেলেদের মধ্যে কান্নারত মেয়েটিকে উপেক্ষা করার প্রবণতা দেখা যায়।
সূত্র : ডেইলি মেইল।
আরও পড়ুন:
দক্ষ প্রোগ্রামার তৈরি করতে পারলে কর্মসংস্থানের অভাব হবে না
পাত্র চেয়ে আজব বিজ্ঞাপন তরুণীর, অতঃপর যা ঘটল...
জাতীয় স্মৃতিসৌধে নতুন সেনাপ্রধানের শ্রদ্ধা
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
ওবায়দুল কাদেরকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করবেন কাদের মির্জা
news24bd.tv/এমিজান্নাত