১.লকডাউনে যে মানুষগুলো ‘তামাশা’ দেখতে বাইরে এসে ভীড় করে, আমি তাদের উপর একদম ক্ষুব্দ হই না। আমি বরং আমার নিজের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকি, একটা দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একজন হয়ে আমি আমার দায়িত্বটুকু যথাযথভাবে পালন করেছিলাম কী না।
লকডাউনে ’তামাশা’ খুঁজতে যাওয়া মানুষগুলোই তো আসলে আমাদের সংস্কৃতির, শিক্ষার, সচেতনতার মাপকাঠি। সেখানেই ’আমরা কে কতোটা ভুমিকা রেখেছি’, সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার প্রশ্ন আসে।
আমরা মানে শিক্ষিত মানুষেরা।২. লকডাউন কার্যকর রাখতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে, তাদের সহযোগিতা দেয়া, সমর্থন দেয়া প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। একই সঙ্গে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগও নিতে হবে। কেনো তাদের ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে- সহজ ভাষায় এই কথাটা বারবার প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
একদিকে প্রশাসনের লকডাউন কার্যকর করার প্রশাসনিক উদ্যোগ, পাশাপাশি মিডিয়ায় সচেতনতামুলক প্রচার। এভাবে চললে নিশ্চয়ই একটা ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
৩. প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেছেন, গত ঈদে মানুষ গ্রামে না গেলে এখন এতোটা খারাপ অবস্থা হতো না। প্রধানমন্ত্রীর কথার সূত্র ধরেই বলি, এবারের ঈদে গরুর হাট না বসালে, ঈদে গ্রামে না ছুটলে সামনের পরিস্থিতি ভালো হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। নঈলে পরিস্থিতি খারাপ হতে বাধ্য। এই বিবেচনাটি মাথায় রাখতে সবাইকে অনুরোধ করি। দেশে যুদ্ধ লাগলে,বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলে কোরবানির হাট বসতো? আপনারা ঈদ করতে যেতে পারতেন? তা হলে এইবার কোরবানির হাট না বসলে,জমজমাট ঈদ উৎসব না হলে কী এমন ক্ষতি!
৪. আইন শৃংখলারক্ষী বাহিনীর প্রতি একটা অনুরোধ রাখি। আপনারা অনেক গুরুদায়িত্ব পালন করছেন, কঠিন একটা কাজ করছেন। আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। দয়া করে চায়ের কেটলি, আর কেরাম বোর্ডের দিকে নজর দিয়েন না।
লেখাটি শওগাত আলী সাগর-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
আরও পড়ুন
দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে: তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা
লকডাউনে চরম দুর্ভোগে নিম্নআয়ের মানুষ
রাজধানীতে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে স্বামী-স্ত্রী আটক
news24bd.tv/এমিজান্নাত