সৌন্দর্যে ভরা সুনামগঞ্জের সব হাওড়গুলো পর্যটকে মুখরিত

সৌন্দর্যে ভরা সুনামগঞ্জের সব হাওড়গুলো পর্যটকে মুখরিত

Other

দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনে আটকে থাকা পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটা, নিলাদ্রী, হাওর বিলাস, পাহাড় বিলাস, বারেকটিলা, লাউড়েরগড় (হাজার বছরের স্থাপনা) সহ মুক্তিযোদ্ধের স্মারক স্থাপনাগুলিতে।

প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের চিত্রবিনোদনের একসাথে এতো স্পট এতো আয়োজন আর কোথাও পাওয়া যাবে না। প্রকৃতির সৌন্দর্যমন্ডিত ঢালা আর কোথায় আছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাত্র কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে ছাড়া। পারিবারিক বিনোদন কিংবা বন্ধুদের অথবা অফিসের সহকর্মীদের নিয়ে পরিপূর্ণ বিনোদনের জায়গা ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সুনামগঞ্জের সবগুলো পর্যটনকেন্দ্র।

news24bd.tv‘হাওরকন্যা’ বলা হয় সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরকে। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। সারি সারি হিজল, করচ আর নল খাগড়ার বন। সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় এ জলাভূমিটি দেশের দ্বিতীয় ‘রামসার সাইট’।

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলায় এ হাওরের অবস্থান।

৪টি ইউনিয়নের ১৮টি মৌজাজুড়ে এর আয়তন ১২ হাজার ৬৫৫ হেক্টর। হাওরে আগে ১২০ কান্দাবিশিষ্ট (পাড়) ১৮০টি বিল ছিল। এখন ছোট-বড় মিলিয়ে বিল আছে ১০৯টি। প্রধান বিল ৫৪টি। এর ভেতর জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য খাল ও নালা। বর্ষায় সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। তখন হাওর যেন রূপ নেয় সমুদ্রে।

এ এলাকার ৮৮টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ হাওরের ওপর নির্ভরশীল। এর উত্তরে ভারতের মেঘালয় পাহাড়। এ পাহাড় থেকে ৩৮টি ঝর্ণা নেমে এসে মিশেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে।

এছাড়া দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, সীমান্ত ছড়া, শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী লেক), শিমুল বাগান, হাওর বিলাস, পাহাড় বিলাসসহ একাধিক পর্যটন স্পটগুলো।

টাঙ্গুয়ার হাওর যেতে তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুরের সড়কের পাশে খরচার হাওরে নির্মিত হয়েছে পাহাড় বিলাস। অন্যদিকে ভারতের সীমান্ত ঘেষা সোলকাবাদ ইউনিয়নের চেংবিলে নির্মাণ করা হয় পাহাড় বিলাস। সেখানেও ভ্রমণ পিপাসুরা প্রতিদিন ভিড় করছেন। ফলে দিন দিন পর্যটক বাড়ছে হাওরবেষ্টিত এই জেলায়।

আরও পড়ুন


পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে ১২০০ কোটি ডলার দেবে এডিবি

লোহাগড়ায় বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার

বিচারের কাঠগড়ায় অং সান সুচি

‘বিসমিল্লাহ’র ফজিলত


বিশেষ করে বন্ধের দিন পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বেড়ে যায় নৌকা কেন্দ্রীক হাওর ভ্রমণও। বাহাড়ি নামে রয়েছে শতাধিক নৌকা। আবাসন সুবিধা না থাকায় নৌকাতেই থাকা খাওয়া, ঘুম ও হাওরে ঘোরাঘুরির কাজটা সেরে নিচ্ছেন ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। এদিকে হাওরের জীববৈচিত্র্যে রক্ষায় শব্দ দূষণ বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের পর্যটন ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানসহ জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধায়নে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার রাখা হয়েছে।

টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেকসহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে একটি পর্যটনকেন্দ্র। দেশের অন্যতম জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ব সম্ভাবনাময় জলাভূমি রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।

news24bd.tv এসএম