চট্টগ্রামের আলোচিত মিতু হত্যার রহস্য উন্মোচন হচ্ছে ধীরে ধীরে। স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছে স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের নির্দেশেই। সোর্স মুসাকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে এই হত্যা করান সে।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য প্রকাশ করেছে মিতু হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী এহেতাশামুল হক ওরফে ভোলা।
বাবুল আক্তার হত্যায় ব্যবহার করা পিস্তল এবং গুলি পূর্ব পরিচিত ভোলার কাছ থেকে যোগাড় করে দিয়েছিলেন। আর ক্রসফায়ার থেকে রক্ষা পেতেই মিতুকে হত্যা করে কিলার গ্রুপ।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।
সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, মিতু হত্যায় ভোলা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা বেনাপোল থেকে এহতেশামুল হক ওরফে ভোলাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে চার বছর ধরে কারাগারে থাকা অবস্থায় ভোলার জবানবন্দি না নিয়ে এখন জবানবন্দি নেওয়ায় আইনগত প্রশ্ন তুলছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী।
আরও পড়ুন
রাত ১২টার দিকে ঘরে ঢুকে সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া প্রেমিকাকে ধর্ষণ প্রেমিকের
শ্রীলংকার বিপক্ষে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ, থাকতে পারে পরিবর্তন
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের মহাযুদ্ধ আজ
লঙ্কাবধে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
আর পিবিআইয়ের দাবি, এহেতাশামুল হক ভোলার কাছ থেকে যে পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে তা মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছিল। আর তা ইতোমধ্যেই ব্যালিষ্টিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ২০১৬ সালের ৫ জুন প্রকাশ্যে গুলি করে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন।
সম্প্রতি স্ত্রী মিতু হত্যায় স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা উঠে আসে পিবিআই’র তদন্তে। এরপর মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুল আক্তারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৫ জন কারাগারে রয়েছেন।
news24bd.tv এসএম