স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বেতন-কর্মঘণ্টা ছাড়াই চলছে ড্রাইভারদের জীবন 

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বেতন-কর্মঘণ্টা ছাড়াই চলছে ড্রাইভারদের জীবন 

প্লাবন রহমান

সবার মতামতের ভিত্তিতে ড্রাইভার-হেলপারদের বেতন সংক্রান্ত গেজেট হওয়ার পরও তার বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। ফলে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্দিষ্ট বেতন-কর্মঘন্টা ছাড়াই চলছে ড্রাইভারদের জীবন। বিআরটিএ বলছে-এটি মালিক-শ্রমিকদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আর মালিক সংগঠন বলছে- নিয়োগ-বেতনের বিয়ষটি বিআরটিএ এর মাধ্যমেই হতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গণপরিবহনের সব সমস্যার সমাধান বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রোগ্রাম।

যাদের হাতে গাড়ীর স্টিয়ারিং প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রীর নিরাপদে গন্তব্যে পোঁছানোর দায়িত্ব সেই ড্রাইভারের নিজেদেরই নেই চাকরির নিশ্চয়তা। প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে শুরু স্টিয়ারিং-এ বসা। মালিকের টাকার যোগাড় করতে গাড়ী চলে অন্তত রাত ১১ টা পর্য়ন্ত।

৩-৪ ঘণ্টার বেশি ঘুমানোয় দায় ড্রাইভার-হেলপারদের। ফলাফল-স্বাভাবিক মাথায় গাড়ী চালানোয় কঠিন ড্রাইভারদের।  

মধ্য বয়স পার হওয়া এই রুস্তম আলীর পুরো জীবনই কাটছে ড্রাইভিং পেশায়। নির্দিষ্ট ৮ ঘণ্টা, নিয়োগপত্র এসব প্রশ্নে তার মনে হচ্ছে তাদের নিয়ে এখন আর ভাবছেন না কেউ।
অথচ ২০১৯ সালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সড়ক পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার মতৈক্যের ভিত্তিতে এদের খসড়া নূন্যতম মুজুরী ঠিক করে। যা গেজেট আকারে প্রকাশিতও হয়েছে। তার আড়াই বছর পার হলেও এর বাস্তবায়ন নিয়ে মুখোমুখি বিআরটিএ আর মালিকপক্ষ।

পুরো রাজধানীজুড়ে যেখানে হতাশা, সেখানে অনেকটা স্বস্তি হাতিরঝিলের চক্রাকার বাস সার্ভিস আর গুলশানের ঢাকা চাকায়। ড্রাইভার-হেলপাররা নিয়োগপত্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট বেতনে চাকরি করেন। তাই নেই মালিকের বেঁধে দেয়া টাকা ওঠানোর তাড়া।  

একআধিকা বাস চালক জানিয়েছেন, নিয়োগপত্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট বেতনে তারা স্বস্তি নিয়ে কাজ করছেন।
 
এখানে এক রুটে এক কোম্পানির বাস চলায় নেই কোন প্রতিযোগিতা। নির্দিষ্ট কাউন্টারে সু-সৃংখলভাবে যাত্রীদের ওঠানামা। পুরো ঢাকার গণপরিবহনকে এর আদলে দেখতে চান বিশেষজ্ঞরা।

গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেন, একমাত্র সরকারই পারবে এর শৃখংলা আনতে। যা সমাধান করতে টাকা, সময়ের প্রয়োজন হবে না।   

আরও পড়ুন:


শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা  


প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক খাতা কলমে তৈরী করে গেছেন এক রুটে এক কোম্পানির বাস চলাচলের সবকিছু। কিন্তু মালিকদের না চাওয়াতেই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি তা। যেজন্য ঝুলে আছে রাজধানীর গণপরিবহনে লাখ লাখ যাত্রী-শ্রমিকের স্বস্তি।  

news24bd.tv রিমু