কিয়েভ ও চেরনিহিভ থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার

নিবিড় আমীন

ইউক্রেনের কিয়েভ ও চেরনিহিভ থেকে পুরোপুরিভাবে রুশ সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এদিকে, ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ সমর্থন দিতে ব্রাসেলসে দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠক করছেন ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

অবশেষে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং চেরনিহিভ থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করলো রাশিয়া।

সেসব সেনাকে পুনরায় বেলারুশ এবং রাশিয়ায় মোতায়েন করা হয়েছে বলে বুধবার তথ্য দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। তবে খারকিভ, লুহানস্ক এবং দোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে রুশ বাহিনীর আক্রমণ জোরদারের আশঙ্কা বাড়ায় সেসব অঞ্চলের স্থানীয়দের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনীয় উপ প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই কন্যার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সাথে রুশ ব্যাংকগুলোকেও লক্ষবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে।

যা পুতিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াবে বলে বুধবার জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি আরও বলেন, বড় ধরনের যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী রাশিয়া।

এই অপরাধীদের জবাবদিহি করতে দায়িত্বশীল দেশগুলোকে একত্রিত হতে হবে। মিত্র এবং অংশীদারদের দিয়ে রাশিয়ার অর্থনীতিকে আরও বেশি চাপের মুখে ফেলব আমরা।

এরই মধ্যে রাশিয়ার বৃহত্তম এসবারব্যাংকের সম্পদ জব্দ এবং দেশটিতে সমস্ত ব্রিটিশ বিনিয়োগ বন্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।

যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে রুশ নাগরিকদেরই এবার বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার তেল নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে বিলম্ব হওয়ার ফলে অনেক জীবন চলে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে বৈঠক করতে বুধবারও মিলিত হয়েছেন ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেয়াই বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত দুদিনব্যাপী এ বৈঠকের উদ্দেশ্য।

news24bd.tv তৌহিদ