‘অশ্লীল’ উদযাপনের কারণ জানালেন মার্টিনেজ

সংগৃহীত ছবি

‘অশ্লীল’ উদযাপনের কারণ জানালেন মার্টিনেজ

অনলাইন ডেস্ক

মাত্র ১ বছর আগেও আর্জেন্টিনা দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন না। এরপর যখন সুযোগ পেলেন গোলবারের নিচে দাঁড়িয়ে থেকে দলকে জেতালেন তিনটি শিরোপা। বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে আর্জেন্টিনার একের পর এক শিরোপা আক্ষেপ ঘুচালেন তিনি। বলছিলাম এমলিয়ানো মার্টিনেজের কথা।

দলকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ ট্রফি জিতিয়ে নিজে জিতলেন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লাভস। উদযাপনটা সে কারণেই আর সবার থেকে একটু বেশি তারই।

ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকে গড়ানো ম্যাচে দুর্দান্ত সেফ দিয়ে দলকে বাঁচিয়েছেন তিনি। এরপর আসরের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পান।

আর পুরস্কার নিতে গিয়ে এক অশ্লীল ভঙ্গি করেন মার্টিনেজ। যা ভালো লাগেনি অনেকেরই। সে সময় ধারণা করা হয়েছিল কাতারের কঠোর মুসলিম আইনের বিরুদ্ধেই হয়তো মার্টিনেজের এমন আচরণ। পরে জানা গেল ভিন্ন কথা।

শিরোপা মঞ্চে পুরস্কার পাওয়া গোল্ডেন গ্লাভস হাতে পেয়ে সেটি নিজের গোপানাঙ্গে ঠেকিয়া অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন মার্টিনেজ, যা নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেনি ফুটবলবিশ্ব। মার্টিনেজের এমন কুৎসিত কাজের জেরে তাকে সমালোচনায় ভরিয়ে দিচ্ছেন সবাই। এরপর নিজের এ আচরণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন মার্টিনেজ।  

মার্টিনেজ নিজেই জানালেন কাতারের প্রসঙ্গে এমন উদযাপন করেননি তিনি। বলেন, ‘টাইব্রেকারের সময় ফরাসিরা আমার সঙ্গে যা করেছে, এটা তারই জবাব। ’ 

ম্যাচ শেষে ফরাসিদের ওপর এতোটাই উত্তেজিত ছিলেন তিনি যে ড্রেসিংরুমে সেলিব্রেশনের সময় এমবাপ্পের নামে এক মিনিট নীরবতাও পালন করতে বলেন দলের সতীর্থদের।

মার্টিনেজ বলেন, ‘আমি পেনাল্টির সময় মাথা ঠাণ্ডা রেখেছিলাম। ওরা ম্যাচে ৩টি শটে গোল করেছে। কিন্তু তার পরও আমি নিজেকে ঠাণ্ডা রেখেছিলাম। জানতাম, শান্ত থাকতে পারলে ঠিক সেভ করে দেব। আমি খুবই দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছি। এই জয় পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই। পুরো পেনাল্টি শুটআউটে আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। এটিই আমার স্ট্র্যাটেজি ছিল। ’

news24bd.tv/আমিরুল