বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের কাজে ধীরগতি; দুর্ভোগ-বিড়ম্বনায় মানুষ

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের কাজে ধীরগতি; দুর্ভোগ-বিড়ম্বনায় মানুষ

প্লাবন রহমান

গাজীপুর থেকে ঢাকা বাস র‌্যাপিড ট্র্যানজিট প্রকল্পের নির্মাণ কাজে নানা রকম দুর্ভোগ-বিড়ম্বনা পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি তাদের। পাশাপাশি-এই প্রকল্পের অধীনে টঙ্গীতে চলছে দশ লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ। প্রকল্প পরিচালক বলছেন-করোনার মধ্যেও তারা চেষ্টা করছেন যতটা সম্ভব কাজ এগুতে।

ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত পুরো সড়কে চলছে বাস র‌্যাপিড ট্র্যানজিট-বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণকাজ। আর তাতে মাঝেমধ্যেই বিড়ম্বনায় পড়ছেন আশপাশের বাসিন্দারা।

news24bd.tv

যানজটের দুর্ভোগতো নিত্যসঙ্গী পুরো পথের যাত্রীদের। সরু রাস্তায় যেন ঘুরেনা যানবাহনের চাকা।

কবে প্রকল্প শেষ হবে, তার অপেক্ষায় দিন গুনছেন যাত্রীরা।

এর মধ্যেই টঙ্গী তুরাগ নদীর ওপর দশ লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকরা যোগ দিয়েছেন প্রকল্প এলাকায়।

news24bd.tv

সবমিলিয়ে-গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ছয়টি ফ্লাইওভার নির্মিত হচ্ছে। যে কারণে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে-ঢাকা-গাজীপুর যাতায়াতে থামতে হবে না কোন যানবাহনকে। কিন্তু এখনও প্রত্যাশিত নয় প্রকল্পের অগ্রগতি। ২০১৬ সালে প্রকল্প শেষের কথা থাকলেও-তিন দফা সময় বেড়ে এখন নতুন লক্ষ্যমাত্রা ২০২২ সাল।

news24bd.tv

প্রকল্প পরিচালক চন্দন কুমার বসাই বলছেন, মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে যত দ্রুত সম্ভব প্রকল্প শেষের চেষ্টা করছেন তারা। তবে ২০২২ এর জুলাইয়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষের আশ্বাস দেন তিনি।

news24bd.tv

গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড.শামসুল হক বলছেন, বেশকিছু কারণে কাজ শেষ করতে আরো সময় লাগবে।


আরও পড়ুন: দৃশ্যমান হচ্ছে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের কাজ


 

২০ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম এই বিআরটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৪ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। যা হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যায় বহুল বিআরটি প্রকল্প।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ