ট্রাম্প ফিরে আসায় আবারো জমজমাট মার্কিন নির্বাচন

ট্রাম্প ফিরে আসায় আবারো জমজমাট মার্কিন নির্বাচন

চন্দ্রানী চন্দ্রা

ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনামুক্ত হয়ে ফিরে এলে আবারও জমে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা। ট্রাম্প ও তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেন সমাবেশেই কথার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।  

মঙ্গলবার ফ্লোরিডার সমাবেশে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প শুধু নিজের কথাই ভাবেন। আর পেনসেলভেনিয়ার সমাবেশ থেকে ট্রাম্পের মন্তব্য, বাইডেন জিতলে হারবে আমেরিকা।

এদিকে, ট্রাম্প মনোনীত বিচারপতি ব্যারেটকে নিয়ে সিনেটে দ্বিতীয় বারের শুনানি চলছে।  

আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে প্রচারণায় নেমেছে বাইডেন-ট্রাম্প। মঙ্গলবার পেনসেলভেনিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নেন ট্রাম্প। বলেন, জো বাইডেন বিজয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় পরাজয় নেমে আসবে।

 তিনি বলেন, ’জো বাইডেন ক্ষমতায় আসলে মার্কিনীদের দূর্ভাগ্য নেমে আসবে। ২০১৬ সালের মতো আবারো ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ’

এদিন ফ্লোরিডায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী বাইডেন। করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্প পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন দাবি করে আগামী নির্বাচনে তাকে বিজয়ী করতে ভোট চেয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন: নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে: সিইসি


জো বাইডেন বলেন, ‘ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের মতোই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে, করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছেন।   ট্রাম্পের কাজ করার ইচ্ছা নেই। সে মানুষের জীবন নিয়ে খেলেছে। ’

সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, জাতীয়ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও তার প্রতিদ্বন্দ্বী  বাইডেনের চেয়ে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছেন।   জরিপ সমন্বয় করেছে রিয়াল ক্লিয়ার পলিটিক্স নামের একটি সংস্থা।


আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা: অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ২৭ অক্টোবর


এদিকে মার্কিন বিচারপতি নিয়োগে মঙ্গলবার ছিল গভীর বিভাজিত সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির পক্ষ থেকে ব্যারেটকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদের দ্বিতীয় দিন। ব্যারেটের রক্ষণশীল চিন্তাধারা ও আপিল আদালতে বিচারক হিসেবে তার দেওয়া রায় খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করছেন ডেমোক্র্যাটিক সিনেটররা।  

আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন ট্রাম্প মনোনীত এই বিচারপতি। তবে বিচারপতি হিসেবে ব্যারেট নিয়োগ পেলে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে ৬-৩ ব্যবধানে রক্ষণশীলরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।   এতে করে আগামী কয়েক দশকের জন্য দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে আদর্শগত ভারসাম্য বিনষ্ট হতে পারে মত বিরোধী শিবিরের।

news24bd.tv সুরুজ আহমেদ