সেই রাতে রায়হানের আর্তনাদ বৃষ্টির শব্দ ছাপিয়ে ছড়িয়ে পরেছিলো সিলেটে পুলিশ ফাঁড়ির আশপাশে। ফাঁড়ির লাগোয়া হোটেলের বাসিন্দা হাসান খান ও নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন রায়হানের আর্তচিৎকার শুনে তারা কেঁপে উঠেছিলেন।
অথচ পুলিশের দাবি ছিলো ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে মারা গেছে রায়হান।
যদিও তার পরিবারের সদস্যরা বরাবরই দাবি করে আসছেন রায়হানকে থানায় নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।
১০ অক্টোবর রাত ২ টায় হোটেলে ফেরেন ব্যবসায়ী হাসান খান।
তারপর হাত-মুখ ধুয়ে সামান্য জিরিয়ে নিতেই হোটেল লাগোয়া সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ভেসে আসে বুক ফাটা আর্তনাদ। সেই সাথে বাঁচার আকুতি। আর নির্মমতা এত বেশি ছিল যে বৃষ্টির শব্দ ভেদ করেও আসে যুবক রায়হানের সেই আর্তনাদের শব্দ।
আরও পড়ুন: ফাঁড়ির ভেতরে তিনিই ছিলেন এসি তিনিই ওসি
সময়ে সময়ে একটা টর্চার সেল হয়ে ওঠেছিল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি। যেখানে শুধু রায়হানই প্রথম নয়, আরও অসংখ্য দিন এমন বাঁচার আকুতি কিংবা আর্তনাদ কানে আসতো বলে জানালেন হোটেলের আরেক বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম।
এমন বিশদ বর্ণনা শুনে বরাবরের মতো নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিলেন পুলিশের এডিসি বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।
পুলিশ ফাঁড়িতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে গত রোববার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে মারা যান রায়হান উদ্দিন।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি নাম না জানা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যার তদন্ত করছে পিবিআই। মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে মূল হোতা বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অকবর হোসেন।
news24bd.tv নাজিম