সরকারের জিরো টলারেন্সে কমেছে মাঠ পর্যায়ের দুর্নীতি

সরকারের জিরো টলারেন্সে কমেছে মাঠ পর্যায়ের দুর্নীতি

আশিকুর রহমান শ্রাবণ

আজ আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস। দুর্নীতিতে একসময়ের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বৈশ্বিক বাস্তবতায় এখন পৃথিবীর ১৪তম দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ। এদিক থেকে কিছুটা উন্নতি। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশের অবস্থান প্রায় তলানিতে।

ওপরে শুধু মাত্র যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ আফগানিস্তান।  

বিশ্লেষকরা বলছেন, জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন মাঠ পর্যায়ে না হওয়ায়, দুর্নীতি কমছে না। তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে আছে, বিদেশে অর্থ পাচারের সীমাহীন সুযোগ।

দুদকের নিজস্ব অনুসন্ধানে বলা হচ্ছে, ভূমি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশে দুর্নীতি সবচেয়ে বেশি হয়।

যার মূল কারণ, সরকারি ব্যবস্থাপনায় গলদ ও অব্যবস্থাপনা।

সেই সঙ্গে চলতি বছরে, করোনাকালে যোগ হয়েছে, স্বাস্থ্যখাতের বেপরওয়া অনিয়ম দুর্নীতি। যেখানে দেখা যায় মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতনের গাড়ি চালকের শতকোটি’র সম্পত্তি। সাথে আছে, শাহেদ ও সাবরিনাদের মত, বসন্তের কোকিলদের টাকার কুমির হওয়া। দুর্নীতি বিরোধী সংগঠন টিআইবি’র ব্যাখ্যা, শুণ্য সহিষ্ণুতার নীতি মাঠ পর্যায়ে অকেজো।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের সদিচ্ছা আমরা দেখছি কিন্তু এই ইচ্ছা মাঠ পর্যায়ে বা উপর মহল পর্যন্ত না পৌঁছানোয় কিছুই হচ্ছে না।


আরও পড়ুন: বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এখনো অনেক পথ বাকি


সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামুসদ্দিন চৌধুরী মানিক বলছেন, টাকা পাচার বন্ধে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। আর বিচার প্রক্রিয়াটাকেও সংশোধন করতে হবে।

সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান, শুধুই আফগানিস্তানের ওপরে। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণা বলছে, প্রতিবছর প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে দেশ থেকে।  

দুদক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু চুনোপুটি ধরেই টাকার অংকের যে খবর মিলছে তাতে যারা পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়ছে, তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপ্তি ও আর্থিক মূল্য কী হতে পারে, সেটা চিন্তা করলেও আতঙ্কিত হতে হয়।

news24bd.tv আহমেদ