চ্যালেঞ্জের মুখে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, ফিরতে চান না অনেকই

চ্যালেঞ্জের মুখে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, ফিরতে চান না অনেকই

লাকমিনা জেসমিন সোমা

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের পর বাংলাদেশের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জই তাদের ভরণ-পোষণের অর্থ যোগান। সেই সাথে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও।  

ভাসানচরে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় অনেক রোহিঙ্গার মধ্যেই এখন রাখাইনে ফিরে না যাওয়ার সুর। আর দীর্ঘদিন ভরণ-পোষণের প্রস্তুতি হিসেবে আন্তর্জাতিক অনুদান পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশীয় এনজিও সংস্থাগুলো।

নিজ দেশে যে ঘর নির্মাণের স্বপ্ন দেখতে পারেনি রোহিঙ্গারা, বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে তেমনই ঘরে বসবাসের সুযোগ পেয়েছে তারা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসব দীর্ঘায়িত হলে চুক্তি অনুযায়ী ‘সেবচ্ছায় প্রত্যাবাসন’ শর্তের জালে পাল্টে যেতে পারে পুরো চিত্র। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে তেমনটাই আঁচ পাওয়া যায়।

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাস দীর্ঘায়িত হলে তাদের ভরণ-পোষণ নিয়ে চ্যালেঞ্জে পড়বে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘ কিংবা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ভাসানচরে না আসায় দেশীয় এনজিও-ই একমাত্র ভরসা সরকারের।


আরও পড়ুন: সরকারের জিরো টলারেন্সে কমেছে মাঠ পর্যায়ের দুর্নীতি


ভাসানচর আশ্রায়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ২২টি এনজিও রোহিঙ্গাদের ভোরণ পোষণের ব্যপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে আসা হলেও এসব এনজিও সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।

তবে আগামি জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক অনুদান পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এনজিও সংস্থাগুলোও। পালস বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম কলিম জানান শিগগিরিই বিদেশি অনুদান পাওয়া যাবে। আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের  চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিনও বলছেন একই কথা জানুয়ারীতেরই মিলবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।

মৌলিক চাহিদা পূরনের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত যেতে নিয়মিত উৎসাহিতহকরণ কর্মসূচীর আয়োজন করা উচিৎ বলে মনে করছেন অনেকে।

news24bd.tv আহমেদ