শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের যে আন্তর্জাতিক মানদন্ড,তাতে বাংলাদেশের অবস্থান নেপালেরও নিচে! দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশের মধ্যে ছয় নম্বরে!!
নেপাল বা ভূটান শুধু ফুটবলেই আমাদের ছাড়িয়ে যায়নি,শিক্ষা-প্রযুক্তি-উদ্ভাবনেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এক সময় মালয়েশিয়ার শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে পড়তে আসতো। নেপালের শিক্ষার্থীরা মেডিকেলে পড়ার জন্যে এখনও আসে।
মালয়েশিয়ায় এখন লাখ দুয়েক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
এরপর হয়ত নেপালেও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা পড়তে যাবে। কত অল্প সময়ে ভূটান আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলছে,তা আমরা নজরেও রাখছি না।অথচ ভূটানের চিকিৎসকদের অনেকে বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনা করে গেছেন। এখনও বাংলাদেশী চিকিৎসকরা কাজ করছেন ভূটানে।
এখানে একদল বলবেন,ছোট দেশ বলে সম্ভব। এই তর্কে যেতে চাই না। শুধু বলতে চাই,ছোট-বড় দেশের বিষয় নয়। বিষয় সঠিক ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ছোট্ট একটি তথ্য দেই। একজন অ্যানেস্থেটিস্টকে বদলি করা হলো বরিশালের একটি প্রত্যন্ত এলাকায়। ডাক্তার গিয়ে দেখলেন তার হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার নেই। তার মানে অ্যানেস্থেটিস্টের কোনো কাজ নেই।
কুয়েতে করোনায় বাংলাদেশির মৃত্যু
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী আর নেই
তিনি সেখানে কয়েকদিন জ্বর-কাশির প্রেসক্রিপশন লিখলেন। হতাশ হয়ে চাকরি নিয়ে চলে গেলেন ভূটানে। এখন তিনি ভূটানে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। বরিশালের সেই অঞ্চলের মানুষ জানলেন যে,এখানে ডাক্তার থাকেননি। শুধু ডাক্তারদের উপর দায় চাপিয়ে আমরা কত অপকর্ম যে আড়াল করছি!
উদ্ভাবনে আমাদের পিছিয়ে থাকার ক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি কিটের চেয়ে কার্যকর উদাহরণ আর কিছু হতে পারে না। দেশীয় কিটটে সামান্যতম উৎসাহ না দিয়ে,বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় পুরো প্রকল্পটিকে হত্যা করা হলো। অথচ সহায়তা-পৃষ্টপোষকতা পেলে পৃথিবীতে বাংলাদেশই প্রথম অ্যান্টিজেন-অ্যান্টিবডি কিট উদ্ভাবক দেশের মর্যাদা পেতে পারতো। এখন বিদেশ থেকে অ্যান্টিজেন কিট কিনে এনে পরীক্ষা চলছে। দেশীয় কিটের ক্ষেত্রে পরীক্ষার যতটা কঠোরতা, বিদেশী কিটের ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি উদারতা! উদ্ভাবনে আমাদের পিছিয়ে পড়াটা কী অস্বাভাবিক কিছু?
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা (ফেসবুক থেকে নেয়া)
news24bd.tv নাজিম