আমার মেয়ের মায়ের নামে একটি শব্দও খারাপ বলব না

আমার মেয়ের মায়ের নামে একটি শব্দও খারাপ বলব না

অনলাইন ডেস্ক

১১ বছরের দাম্পত্য ভাঙার পর সংগীতশিল্পী তাহসান নতুন করে কোনো সম্পর্কে না জড়ালেও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে জীবনসঙ্গী করেছেন।  গত বছরের ডিসেম্বরে মিথিলা দ্বিতীয় বিয়ের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করেছেন। একমাত্র মেয়ে আইরাকে নিয়ে সৃজিতের সঙ্গে সুখেই আছেন এই অভিনেত্রী।  

সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমানে সম্পর্ক কেমন এ বিষয়েও মুখ খুলেছেন বাংলাদেশি এই জনপ্রিয় তারকা।

সম্পর্কের ধরন জানতে চাইলে তাহসান বলেন,  এটা আসলে খুব কঠিন একটা প্রশ্ন। আমাদের প্রত্যেকেরই তো কিছু দোষ-গুণ আছে।

 আমাদের একটা সম্পর্ক ফেল করেছে মানে এই নয় যে বন্ধুত্ব থাকবে না। আমাদের মেয়েকে আমরা দু’জনেই খুব ভালোবাসি।

আমার মেয়ের মায়ের নামে তাই একটি শব্দও খারাপ বলব না। আমি মনে করি, আমরা দু’জন আলাদা থেকেও আইরাকে সুন্দরভাবে বড় হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারি।  


একান্তে সময় কাটাতে আনুশকাকে বাসায় ডেকেছিল: দিহানের মা

আনুশকার শরীরে মিলেছে রহস্যজনক ‘ফরেন বডির’ আলামত

বাবার টাকার দাপটে দিহানের বেপরোয়া জীবন যাপন


এছাড়াও বিচ্ছেদের তিন বছর পেরিয়ে গেছে। তখন আমার জীবনের কঠিন সময় ছিল। কিন্তু আমরা কেউই বাইরের মানুষের কথায় আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট করিনি। তাই বোধ হয় আমাদের সম্পর্কটা এতটা সহজ।

কথা হয় মিথিলার সঙ্গে? এই প্রশ্নের জবাবে তাহসান বলেন, আমাদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ আছে। ওরা তো এখন সিকিমে। আইরা বরফ দেখে ওখান থেকেই আমাকে ভিডিও কল করেছিল।

ভিডিও কল তো হলো, এবার মেয়েকে দেখতে নিজে যাবেন তো? তাহসান বললেন, হ্যাঁ। এই মহামারির জন্য ভিসার সমস্যা কাটলেই যাব। এছাড়া আমি নতুন বছরে কলকাতায় গিয়ে কাজ করার রেজোলিউশন নিয়েছি।  

তাহসান ও মিথিলা ২০০৬ সালে ৩ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আইরা তেহরীম খান তাহসান-মিথিলা দম্পতির একমাত্র সন্তান। তাহসান মিথিলার পরিচয় গানের মাধ্যমে। তাহসান তখন ব্ল্যাক ব্যান্ডের গায়ক। এক বন্ধুর সঙ্গে তাহসানের আড্ডায় গান শুনতে যান মিথিলা।  

এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক পরিণয়ে গড়ায়। বিয়ের পর এ জুটি একাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। ‘আমার গল্পে তুমি’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’, ‘ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম’, ‘মধুরেন সমাপয়েত’ নাটকসহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন এই জুটি। নাটক ছাড়াও এ জুটি একসঙ্গে গানও গেয়েছেন।

news24bd.tv / কামরুল