কী খাচ্ছি আমরা?

সংগৃহীত ছবি

কী খাচ্ছি আমরা?

ফখরুল ইসলাম

 

পিঠা পুলি তৈরিতে শখের বসে, আপনারা যে গুড় খেয়ে থাকেন, তার সবই কি আসল? বাজারের অধিকাংশ গুড়েই আখ কিংবা খেজুরের রসের ছিটেফোঁটাও নেই। গো-খাদ্য লালী, আটা আর গরুর চর্বির সঙ্গে রং মিশিয়েই বানানো হচ্ছে এসব গুড়। সাভারের বেশ কয়েকটি কারখানায় রাতের আঁধারে জালিয়াত চক্র তৈরি করে টনকে টন গুড়। যা ছড়িয়ে দেয়া হয় সারাদেশে।

রোগীর পাথেয় কিংবা পিঠা পুলি উৎসবে বাজারের এইসব গুড়ই ভরসা ভোক্তাদের। রং চকচকে গুড়ে ভোক্তাদের আস্থা শতভাগ। তবে বিক্রেতাদের আছে নানা অভিযোগ।

দেশের গুড় তৈরির সবচেয়ে বড় মোকাম সাভারের নামাবাজার।

দিনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে কাজ বন্ধ থাকলেও গোপনে ট্যাংকার ভর্তি গো-খাদ্য চিটাগুড় আনলোড করছে কারখানাগুলো।  

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর রাতে গুড় তৈরির সবচেয়ে বড় কারখানায় নিউজ টোয়েন্টিফোর টিম।  খেজুর, আখের সব গুড়ই তৈরি হচ্ছে এই কারখানায়। তবে খেজুর বা আখের রসের ছিটেফোঁটাও নেই। আছে সারি সারি আটার বস্তা, চিনি, গরুর চর্বি আর রংয়ের মজুদ।

চিটাগুড়ের সঙ্গে আটা, চিনি আর গুড়কে জমাট বাধাতে মেশানো হচ্ছে গরুর চর্বি। সাথে একটু চকচকে করতে দেয়া হচ্ছে বিষাক্ত কাপড়ের রং। এভাবেই হয়ে গেলো মুখরোচক গুড়।

কারখানাটিতে এক রাতেই তৈরি করা হচ্ছে কয়েকটন গুড়। সেগুলো পরে ছড়িয়ে দেয়া হয় রাজধানীসহ সারাদেশে।

পাশের আরেক কারখানায় চলছে গুড় তৈরির মহাজালিয়াতি। গো-খাদ্য, চিটাগুড় আর আটা মিশিয়ে বানাচ্ছে তথাকথিত গুড়। এসব ভেজাল গুড় সাধারণ ভোক্তাদের দেখে চেনার জো নেই।

আরও পড়ুন:


 

আইসিডিডিআরবিতে চাকরি, আবেদন অনলাইনে


এমন ভেজাল গুড় খেয়ে প্রতিবছরই রোগাক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই খাদ্যে ভেজাল রোধে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার দাবি ভোক্তা অধিকার সংস্থা-ক্যাবের।

news24bd.tv রিমু