বট ও পাকুড় গাছের বিয়েতে অর্ধসহস্রাধিক অতিথি!

বটগাছ ও পাকুড় গাছের বিয়ে

বট ও পাকুড় গাছের বিয়েতে অর্ধসহস্রাধিক অতিথি!

অনলাইন ডেস্ক

ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের দয়ারামপুর বাজার এলাকায় বটগাছ ও পাকুড় গাছের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। মহা ধুমধাম করে গ্রামের অর্ধসহস্রাধিক মানুষকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। অতিথিরা ভুরিভোজও করেন।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই কথিত এই ‘বিয়ের’ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

আর সন্ধ্যায় শুভলগ্নে হয় বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। চলে রাত পর্যন্ত। গোধূলিলগ্নে মন্ত্র পড়ে বটকে ‘বর’ ও পাকুড়কে ‘কনে’ ধরে বিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন পুরোহিত।

বর বটগাছের বাবা হন অম্বিকাপুর ইউনিয়নের শোভারামপুর গ্রামের ব্যবসায়ী অধির ব্যানার্জি।

কনে পাকুড়গাছের বাবা ছিলেন একই গ্রামের ব্যবসায়ী অরুণ সাহা।

সনাতনধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, বটগাছ-পাকুড় গাছ একসঙ্গে থাকলে বিয়ে দিতে হয়। সে জন্যই একসঙ্গে বেড়ে ওঠা বট-পাকুড় গাছের বিয়ের আয়োজন করে দয়ারামপুর বাজার কমিটি। এ জন্য পুরো বাজার সাজানো হয় নানা রকম লাইটিংয়ে।

বিকেল থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত গড়ায়। বিয়ে দেখতে বিভিন্ন এলাকার উৎসুক জনতার আগমন ঘটে। খাবারের পদে ছিল পোলাও, সবজি, ডাল, ফুলকপির তরকারি, চাটনি ও মিষ্টি।

দয়ারাম বাজার কমিটির সদস্য ও বিয়ে আয়োজক কমিটির সদস্য সংকর মালো বলেন, সনাতন ধর্মমতে বট-পাকুড়ের বিয়ে দেয়া হলে গ্রামবাসীর মঙ্গল হয়। শুধু তা-ই নয়, পবিত্র গীতাতেও বট-পাকুড়ের বিয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে। পূর্বকাল থেকেই এ ধরনের বিয়ের রীতি প্রচলন হয়ে আসছে। তাই আমাদের শ্মশানের ভেতরে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা বট-পাকুড়ের বিয়ে দেয়া হয়েছে।

অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাইদ চৌধুরী বারি বলেন, জায়গাটা আমার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী। বিয়ের কথা শুনেছি। দাওয়াতও পেয়েছিলাম তবে সময়ের অভাবে যাওয়া হয়নি। তবে জানতে পেরেছি অনেক ধুমধাম করে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামের যেকোন উৎসবকেই আমি স্বাগত জানাই।

আরও পড়ুন


সদ্যনিয়োগ পাওয়া বিচারপতির মৃত্যু, নেওয়া হল না শপথ

news24bd.tv এসএম