কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরার ক্ষণ গুনছে তখন ফরাসিরা। এমবাপ্পে দলকে সে পথেই রেখেছিলেন। তবে পারলেন না তার সতীর্থরা। টাইব্রেকে গড়ানো ম্যাচে দুটি গোল মিস করে বসে তার সতীর্থরা।
যার বড় দায়টা বর্তায় রিয়াল মাদ্রিদ তারকা আহেলিয়া চুয়ামেনির ওপর।অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচটি ৩-৩ গোলে শেষ হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকে। যেখানে এমবাপ্পের গোলে ঠিকঠাক শিরোপা পথেই এগোচ্ছিল ফ্রান্স। তবে ভুল করে বসেন দ্বিতীয় শট নিতে আসা কিংসলে কোমান।
অবশ্য চুয়ামেনিকে ব্যর্থ করার পেছনে মার্টিনেজের ভূমিকাই বেশি। প্রত্যাশার চাপে নুইয়ে পড়া চুয়ামেনি পেনাল্টি শট নিতে এসে বল ঠিক জায়গায় পাননি। মার্টিনেজ ইচ্ছে করেই বল দূরে সরিয়ে দেন। চুয়ামেনি শট নিতে আসার সময়ও এটা ওটা বলে তার মনোযোগ নষ্ট করে দিচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন বাজপাখি। এতে রেফারির হলুদ কার্ডও দেখতে হয়েছে তাকে। তবে দিন শেষে সফল হয়েছেন তিনিই। চুয়ামেনি বল রাখতে পারেনি গোল পোস্টে। তৃতীয় শিরোপার স্বাদ পায় আর্জেন্টিনা।
তবে খুব কাছে গিয়ে দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে না পারায় সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মিডফিল্ডার চুয়ামেনি। নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার চুয়ামেনি টুইটে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি লিখেন, ‘হারের তিক্ততা ও হতাশা হজম হতে সময় লাগবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমার দায়ভার আমি নিচ্ছি। পরিকল্পনা ঠিকমতো কাজ করেনি। সবার প্রথমে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, ফ্রান্সের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বিশেষ করে, যদি আপনারা আমাদের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। ’
উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অভিষেক হয় চুয়ামেনির। খেলে ছিলেনও দারুণ। মাঝমাঠে পল পগবার অনুপস্থিতি প্রায় বুঝতেই দেননি এই তরুণ। আক্রমণে সুর বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি রক্ষণেও রেখেছেন অবদান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে তার ২৫ গজ দূর থেকে করা গোলেই শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ফরাসিরা। পরে ম্যাচটি তারা জেতে ২-১ ব্যবধানে।
news24bd.tv/আমিরুল