নেপালের পোখরায় ৭২ যাত্রী ও ক্রু নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালের এই ঘটনায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এআরটি উড়োজাহাজটি পোখরা থেকে কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল। পুরানো বিমানবন্দর এবং পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝামাঝি কাসকি জেলায় বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটিতে ৬৮ যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিল।
কাসকি জেলার প্রধান টেক বাহাদুর কেসি জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটি সেতি নদীর পাশেই বিধ্বস্ত হয়েছে।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে আছে কি না তা আমরা এখনও জানি না।
ইতোমধ্যে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। ওইসব ছবি ও ভিডিওতে আগুন এবং ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
এদিকে, উদ্ধার কাজ চালাতে নেপালি সেনাবাহিনীর একটি টিম ও হেলিকপ্টার কাজ করছে।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা গুরুদত্ত ঢকাল বলেছেন, ‘উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষে আগুন লেগেছে। উদ্ধারকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। ’
নেপাল সেনাবহিনীর মুখপাত্র কৃষ্ণা বান্দারি লণ্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের পর কয়েক টুকরোতে পরিণত হয়। শতাধিক উদ্ধারকর্মী কাজ করছে। ’
নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা নতুন নয়। দেশটিতে প্রায়শ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটে। সবশেষ ৩০ বছরে অন্তত ত্রিশটি উড়োজাহজ দুর্ঘটনা ঘটেছে হিমালয়ের দেশটিতে। সর্বশেষ ২০২২ সালের মে মাসে পোখরায় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটে। সেটিতে ২২ জনের মৃত্যু হয়।
news24bd.tv/মামুন