রান্নাঘর পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কোনো মতে অবহেলা দেখানো যাবে না। এর ফলে খাবারে বিষক্রিয়া হলে দেখা দিতে পারে। এছাড়াও দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। কোন পথে জীবাণুমুক্ত রাখবেন রান্নাঘর? চলুন নিম্নে জেনে নেই-
নিয়মিত পরিষ্কার করা
রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার করার কোনও বিকল্প নেই।
বাসন ধোয়ার ক্ষেত্রে
বাসন ধুয়ে রাখা থাকলেও ব্যবহার করার আগে আরেকবার ধুয়ে নিতে হবে বাসন। আর অপরিষ্কার বাসন, বেসিন বা সিঙ্ক-এ পরিষ্কার না করাই ভালো। এতে সিঙ্ক-এর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। করলেও এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। স্টিলের বাসনের ক্ষেত্রে আগে থেকে গরম পানি চুবিয়ে রাখতে পারেন। কাঠের জিনিসপত্রের ক্ষেত্রে পরিষ্কার করার সময় বেকিং সোডা, লবণ ও লেবু ব্যবহার করতে পারেন। বাসন ধোয়া হয়ে গেলে পুরোপুরি না শুকিয়ে বাসনের আলমারিতে তুলবেন না।
ননস্টিক বাসনের ক্ষেত্রে
অনেকেই এখন রোজকার রান্নায় তলায় লেগে যায় না, এমন বাসন ব্যবহার করেন। কিন্তু এই ধরনের বাসনে অনেক সময় টেফলন নামক একটি উপাদানের আস্তরণ দেওয়া থাকে। কিন্তু এই উপাদানটির আস্তরণ যদি উঠে আসে তবে তা থেকে খাবারে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই এই ধরনের বাসন পরিষ্কার করার সময় সতর্ক থাকেতে হবে যাতে বাসনে কোনও ধরনের আঁচড় না লাগে।
সবজি কাটার সময়
বটি, চপার বা ছুরি দিয়ে সবজি বা মাছ-মাংস কাটাকাটি করার সময়ে জীবাণু লেগে যেতে পারে। তাই এগুলিকে নিয়মিত জীবানুমুক্ত রাখাই বাঞ্ছনীয়। মাছ-মাংস কাটার সময় প্রাণীদেহ থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগজীবাণু লেগে যেতে পারে বটিতে। শাকেও অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের জীবাণু লেগে থাকে। তাই এই ধরনের সবজি কাটার পরেও ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে বঁটি।
ইলেকট্রনিক যন্ত্রের পরিষ্কার
আধুনিক রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ, ব্লেন্ডার কিংবা চিমনি অত্যন্ত জরুরি সব সামগ্রী। কিন্তু এই সামগ্রীগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করাও জরুরি। অনেকে কেরোসিন তেল দিয়ে চিমনি পরিষ্কার করেন। তবে বৈদ্যুতিন যন্ত্র পরিষ্কার করতে বিশেষজ্ঞদের ডাকাই ভালো।
news24bd.tv/রিমু
