বইমেলার ৮০ ভাগেরও বেশি কাজ সম্পন্ন

সংগৃহীত ছবি

বইমেলার ৮০ ভাগেরও বেশি কাজ সম্পন্ন

অনলাইন ডেস্ক

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে বাঙালির প্রাণের ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৪’। মেলা সফল করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জোরেশোরে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, এরই মধ্যে মেলার ৮০ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের খুঁটি লাগানো ও বাঁশের ফ্রেমিংয়ের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।

এখন বইয়ের তাক নির্মাণ ও বৃষ্টির দুর্ভোগ এড়াতে স্টলের ওপরে টিন দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তথ্যকেন্দ্র, বইমেলার মিডিয়া সেন্টার, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডাসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজ অধিকাংশ শেষ হয়েছে।

কাজ করা শ্রমিকরা জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও মিস্ত্রি কাজ করছেন। স্টল নির্মাণ, বইয়ের তাক নির্মাণ এবং ভেতরের ডেকোরেশনের জন্য আলাদা আলাদা মিস্ত্রি কাজ করছেন।

বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে ৮০ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। গত বছর নানা সমালোচনায় পড়ে এবার বইমেলা সম্পন্ন করতে যথাযথ পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলা একাডেমি। এবছর প্রায় ৭০টি নতুন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টল বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিল। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ২১টি প্রকাশনাকে বাছাই করা হয়েছে।  

এছাড়া গত বছরেরগুলো অপরিবর্তিত থাকছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হবে স্টল। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে কাঠামোসহ মেলার সব কাজ সম্পন্ন করা হলেও এবার পুরো মেলার কাজ বাংলা একাডেমি একাই সম্পন্ন করবে।  

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, পুলিশ বিভাগ, মেট্রোরেল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সভা করেছে বইমেলা পরিচালনা কমিটি।

এবার নতুন করে ঢাকার ২৫টি স্কুলের শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের বইমেলায় আনতে চিঠি দিয়েছে বাংলা একাডেমি। মেট্রোরেলও চালু থাকবে রাত পর্যন্ত।

বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমি মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মেলার পূর্বপ্রস্তুতি ও পর্যবেক্ষণের জন্য সাতটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, গত মেলায় যেসব অভিযোগ ছিল এবার থাকবে না। প্রকাশনী নিয়েও অস্থিরতা নেই। গত মার্চ থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। এবার আমরা পুস্তক সমিতি থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সদস্য ও মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে নিয়ে বইমেলার একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করেছি।

তিনি বলেন, বিগত বছরের মত এবারও মেলার অবকাঠামোগত বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে। একটা গলির সামনে দাঁড়ালে এর শেষ মাথা দেখা যাবে। গুচ্ছ আকারে থাকবে না। প্যাভিলিয়ন ও স্টলের লাইন আলাদা থাকবে, যাতে স্টল খুঁজে পেতে সহজ হয়।

আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’ এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় চটের ওপর ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। যা আজ অমর একুশে বইমেলায় পরিণত হয়েছে।

news24bd.tv/কেআই

এই রকম আরও টপিক