মিয়ানমার সীমান্তে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং এ ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার ইস্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানো ও কার্যকর রাজনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরিবর্তে শুধু ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের অবস্থান গ্রহণ করেছে সরকার। একে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ বলে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।
আরও পড়ুন : কী ঘটছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে?
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার সীমান্ত অরক্ষিত রেখে অতীতের মতো অন্তঃসারশূন্য যে বক্তব্য দিচ্ছে, তাতে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বড় ধরনের ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে।
বিবৃতিতে রিজভী বলেন, জনসমর্থনহীন সরকার সীমান্ত-নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। দেশের সীমান্ত ও স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তায় পদক্ষেপ না নিয়ে সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন : রাখাইনে জান্তা সেনা ও বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরকার ক্রমাগত কূটনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। মেরুদণ্ডহীন এই নতজানু সরকারের কারণেই জাতীয় সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে এবং জননিরাপত্তা অরক্ষিত। আওয়ামী ডামি সরকার কেবল দেশে বিরোধী মত দমন করতেই পারঙ্গম। অথচ সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করে দেশের মানুষকে হত্যা করা হলেও ভীত-পরনির্ভরশীল সরকার বলছে ধৈর্য ধরতে হবে।
আরও পড়ুন : সীমান্তে সংঘাত: সারাদিনে যা যা হলো...
news24bd.tv/aa