রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় স্বীকার মিয়ানমারের দুই সেনার

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় স্বীকার মিয়ানমারের দুই সেনার

প্লাবন রহমান

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় স্বীকার করেছেন মিয়ানমারের দুই সেনাসদস্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসি-তে রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ ও তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ স্বীকার করে, সরাসরি ১৮০ রোহিঙ্গাকে হত্যার কথা জানিয়েছেন তারা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু করেন রোহিঙ্গারা। শেষ মেষ-কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়াতে আশ্রয় দেয়া হয় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে।

news24bd.tv

২০১৭ থেকে ২০২০। পেরিয়েছে রোহিঙ্গা সংকটের ৩ বছর। কিন্তু এই সময়েও – একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো যায়নি মিয়ানমারে। এমনকি-রোহিঙ্গাদের ওপর এমন হত্যা-নির্যাতনের পরও তা স্বীকারই করেনি মিয়ানমার।

অবশেষে-২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা, ধর্ষণ এবং তাদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের কথা স্বীকার করেছেন মিয়ানমার সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই সৈনিক। নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউশন টিমের কাছে এসব অভিযোগ স্বীকার করেন সেনা সদস্য প্রাইভেট মেও উইন তুন ও প্রাইভেট জাও নাইং তুন। তারা দুইজন সরাসরি ১৮০ রোহিঙ্গাকে হত্যার করার কথা স্বীকার করেছেন।


আরও পড়ুন:

করোনার ধকল কাটিয়ে স্বাভাবিক ব্যাংকিং লেনদেন কার্যক্রম


এই দু’জন সৈনিকই ২০১৬ ও ১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সৈনিক হিসেবে রাখাইনে সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘অপারেশন ক্লিয়ারেন্স’-এ রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে অংশ নেন। বিশেষজ্ঞের আশা- এসব ঘটনার স্বীকারোক্তী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে কাজে দেবে। এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের দাবি আরও জোরালো হবে বলেও মনে করেন তারা।

গেল বছরের ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত আইসিজিতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। তারপরও- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মিয়ানমারের সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ