চাঁদপুর পৌরসভা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া

চাঁদপুর পৌরসভা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া

খোকন কর্মকার

প্রতিষ্ঠার পর ১২৪ বছর কেটে গেছে। দীর্ঘ সময়ে পট পরিবর্তন হয়েছে অনেকবার। ইংরেজ শাসনামাল, এরপর পাকিস্তান, সবশেষ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন।  

কিন্তু এতো পরিবর্তন দেখলেও চাঁদপুর পৌরসভা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সেই আগের নিয়মেই রয়ে গেছে।

আধুনিকতার ছোঁয়া খুব একটা লাগেনি সেখানে। শহরের মানুষ ভোগান্তি সত্ত্বেও সহ্য করছেন দুর্গন্ধ আর অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। বরাবরের মতো বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিগগির ভালো উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।  

news24bd.tv

প্রায় ১০ বর্গমাইলের চাঁদপুর পৌরসভা।

দেড় লাখ মানুষের বসবাস এখানে। গ শ্রেণির ব্রিটিশ পৌরসভা থেকে এখন উত্তোরণ হয়েছে প্রথম শ্রেণিতে। তবে শুধু শ্রেণি বদলেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার করুণ দশায় পৌরসভার প্রথম শ্রেণির মর্যাদা এখন ফিকে।

শহরের যেখানে সেখানে ময়লার স্তুপ প্রতিদিনের চিত্র। ছোট ডাস্টবিনের গণ্ডি পেরিয়ে সড়কে পৌঁছে যায় আবর্জনা। বিশেষ করে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ, হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কাছে ময়লা ফেলার জায়গা নির্ধারণ হওয়ায় ভোগান্তিতে পথচারিরা।

শহরের আবর্জনা কয়েকদিনে পরিষ্কার হয়ে জমা হয় স্বর্ণখোলা সড়কের লাশ ঘরের পাশে। এতে ওই এলাকায় বসবাসও কঠিন হয়ে পড়েছে। সচেতন নাগরিকরা বলছেন, পৌরবাসীর জন্য সুপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন জরুরি বিষয়।

news24bd.tv

আবর্জনা সরাতে শহরজুড়ে ৪শ কর্মী কাজ করছে বলে জানায় পৌর কর্তৃপক্ষ। প্যানেল মেয়র বলছেন, আধুনিক একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ চলছে।

চাঁদপুর পৌরসভার জন্ম ১৮৯৬ সালের ১ অক্টোবর। কিন্তু এতো বছরেও উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে না ওঠায় পৌরসভার সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসী।


আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর চট্টগ্রামে লোকাল ট্রেন চালু


নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম

এই রকম আরও টপিক