মাদক সংশ্লিষ্টতা বেড়েই চলেছে পুলিশ বাহিনীতে

মাদক সংশ্লিষ্টতা বেড়েই চলেছে পুলিশ বাহিনীতে

আশিকুর রহমান শ্রাবণ

তথ্য ও অনুসন্ধান দুটোই বলছে, পুলিশ বাহিনীর মাঠপর্যায়ে কর্মরত সদস্যদের, মাদক সংশ্লিষ্টতা বেড়েই চলেছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডিএমপি’তে কর্মরত, সহস্রাধিক পুলিশের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। অক্টোবর পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৫০ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, ব্যাক্তির দায় সংস্থা নেবে না।

এদিকে, অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থার যথেষ্ট নয়, ফৌজদারি অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

জনগণের বন্ধু ও রক্ষক পুলিশের কিছু বিপথগামী সদস্য, মাদক কারবারে জড়িয়ে বিভিন্ন সময়, গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে, মোহাম্মদপুর থেকে, পুলিশের হাতেই আটক হয়, এস আই আতিক। উদ্ধার হয় ১১ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ ৫ লাখ টাকা।

তার ক’দিন আগে, ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ ঠাকুরগাঁও, এর কোর্ট পুলিশের একজন এসআই, সহযোগীসহ আটক হয়। ঢাকার অদূরে, র্যাবের হাতে, ১৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ, আটক হয়, টঙ্গি পশ্চিম থানা পুলিশের সাবেক ওসি অপারেশন ও এস আই রাকিব। আর সবশেষ, দুদিন আগে, যাত্রাবাড়ির থানার এক এস আই ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়েছে, র‌্যাবের কাছে।

এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে, পুলিশ বাহিনীতে শুরু হয়েছে ডোপ টেস্ট। নেয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবুল কালাম সিদ্দিক বলেন, এক পুলিশের মাদককারবারীদের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর তাকে  বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সকল ইউনিটকে বলা হয়েছে কারও মাদক সংশ্লিষ্টতা ধরা পড়লে তাদের সঙ্গে সঙ্গে চাকরি চ্যুত করা হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, এধরণের অপরাধে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় সারাবিশ্ব, দৌড়ে এগিয়ে ফাইজার


মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলোজি ও পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলম বলছেন, বিভাগীয় ব্যবস্থা ভালো, কিন্তু যথেষ্ট নয়। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থাও নিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান জানান, পুলিশের বেশ কিছু কাজ প্রশংসিত তবে বেশ কিছু সমালোচনাও আছে। তবে পুলিশের ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশনও আরও বাড়াতে হবে।  

দেরিতে হলেও, পুলিশ বাহিনীর ভেতরে মাদক বিরোধী এমন শুদ্ধি অভিযানকে, ইতিবাচক হিসেবে দেখছে সাধারণ মানুষ।

news24bd.tv আহমেদ