কয়েক শ নেতা-কর্মীকে নিয়ে কাদের মির্জার থানা ঘেরাও

কয়েক শ নেতা-কর্মীকে নিয়ে কাদের মির্জার থানা ঘেরাও

অনলাইন ডেস্ক

ডিসি, এসপি ও ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানা ঘেরাও করে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা।

এছাড়াও চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ফখরুল ইসলাম ওরফে সবুজের গ্রেপ্তারের দাবিও এ ধর্মঘটের কারণ বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে কয়েক শ নেতা-কর্মী নিয়ে কাদের মির্জা থানার ফটকে অবস্থান করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবদুল কাদের মির্জা ফেনীর দাগনভূঁইয়া ও চট্টগ্রামে তাঁর ওপর হামলা ও হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বসুরহাট রূপালী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন। যাতে তিনি ফেনীর সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালীর সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ দাগনভূঁইয়া ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করেন।

আরও পড়ুন:


স্বামীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরকীয়া, প্রেমিক ধরা

পরকীয়া প্রেমিকের হারিয়ে যাওয়া ফোনে স্বামী হত্যার রহস্য ফাঁস

পরকীয়া প্রেমিকাসহ ধরা যুবদল নেতা

পরকীয়া প্রেম: রাতভর আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ

কোভিডে টরন্টোয় বন্দুক সন্ত্রাস বেড়েছে, বাংলাদেশিদের সতর্কতার পরামর্শ

ইসলামে নাম ব্যঙ্গ করার পরিণাম কী?


এই সংবাদ সম্মেলন চলাকালে উপজেলার টেকের বাজারে আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে একটি সমাবেশ করেন চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ফখরুল ইসলাম।

কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জকে জিম্মি করে রেখেছেন উল্লেখ করে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

সমাবেশ শেষে সেখানে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়।

সমাবেশের খবরে কাদের মির্জার একদল সমর্থক টেকের বাজারে যান। সেখানে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

একপর্যায়ে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ফখরুল ইসলামকে আটক করেন। এ সময় সমর্থকেরা পুলিশের কাছ থেকে ফখরুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে কাদের মির্জা রাত সাড়ে আটটার দিকে কয়েক শ নেতা-কর্মী নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেন।

কর্মসূচির বিষয়ে কাদের মির্জার সহকারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, নেতা থানার সামনে আন্দোলন করছেন, বলেছেন এখন কথা বলতে পারবেন না।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হককে একাধিকার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

থানায় কর্তব্যরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. রুবেল বলেন, রাত সাড়ে আটটা থেকে মেয়র লোকজন নিয়ে থানার ফটকে অবস্থান করছেন।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘উনি তো রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। আমরা এসব বিষয়ে কী বলব। উনি অবস্থান করছেন, যতক্ষণ পারেন করুক। আমরা প্রয়োজনে লেপ-কাঁথা দিয়ে দিব, যদি শীত লাগে। ’

news24bd.tv তৌহিদ