একটি সুন্দর কণ্ঠের অধিকারী হতে কণ্ঠস্বরের যত্ন নেওয়া জরুরি। নিজের শরীরের সার্বিক যে স্বাস্থ্যগত দিক, তার ওপরে কিন্তু কণ্ঠস্বরও নির্ভর করে। যেমন:- একজন লোক যদি নিয়মিত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করেন, যেটি আমাদের সবার করা উচিত, এটি করলে কণ্ঠস্বর ভালো থাকবে। এ ছাড়া কণ্ঠস্বরকে অ্যাবিউজ না করা ভালো।
বিরামহীন কথা বলা, জোড়ে চিৎকার দেয়া, গলার মধ্যে সমস্যা মনে হওয়া সত্ত্বেও সমাধান না করা। এমন নানা কারণে কণ্ঠ দিন দিন খারাপ হয়ে যায়। তাই কণ্ঠ ভালো রাখতে যা করতে হবে-
>> প্রথমেই উচ্চ স্বরে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। আমরা সবাই জানি কোনো স্পিকার বা মাইককে তার কার্যক্ষমতার সমান বা তার থেকে বেশি জোড়ে বেশিদিন বাজালে তা অচিরেই নষ্ট হয়ে যায়।
>> সুন্দর করে কথা বলার অভ্যাস করুন৷ সবাই কথা বলতে পারে কিন্তু সুন্দর করে কথা না বললে আপনার কণ্ঠ সুন্দর হবে। তাই কথা বলার সময় তা গুছিয়ে সুন্দর করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন।
>> কম কথা বলার অভ্যাস করুন। বেশি কথা বললে কণ্ঠনালির উপর অতিরিক্ত চাপ পরে। কারণ অনবরত কথা বলার ফলে কণ্ঠনালিতে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার ফল স্বরূপ কণ্ঠ ভেঙ্গে যাওয়া, কণ্ঠ পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, জোরে কথা বলতে পারার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কম কথা বলার অভ্যাস গরে তুলুন।
>> অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা গরম কিছু দ্রুত খাওয়া বা পান করবেন না। এতে কণ্ঠনালি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই বেশি গরম বা বেশি ঠাণ্ডা কিছু স্বাভাবিক হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর সেটি খেতে বা পান করতে পারেন।
সাতদিনের রিমান্ডে মাওলানা মামুনুল হক
এবার লাইভে এসে ক্ষমা চাইলেন নুর
অর্থমন্ত্রীর জামাতা দিলশাদ হোসেন মারা গেছেন
>> গলা বা কণ্ঠনালিতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত তার চিকিৎসা করান। কারণ গলা বা কণ্ঠনালিতে বড় ধরনের কিছু হলে তা সারানো অনেক ঝামেলার ব্যাপার। তাই যখনই কোনো সমস্যা দেখা দিবে, তখনই তার সমাধান করার চেষ্টা করুন।
>> দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। কারণ পানি আপনার শরীরের সমস্ত কিছু স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই পানি পান করতে ভুলবেন না। কোনো খাবার খাওযার পর অবশ্যই কিছুটা হলেও পানি পান করুন। কারণ খাবারের কিছু অংশ আপনার কণ্ঠনালির পাশে বেঁধে থাকতে পারে। আর এমন খাদ্য উপাদান দীর্ঘ সময় সেখানে বেঁধে থাকলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হবে।
news24bd.tv নাজিম