এক লাখ রোহিঙ্গার সাময়িক জীবিকা নির্বাহের সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ভাসানচরে। চরের মাটিতে পরীক্ষামূলকভাবে ধান ও শাক-সবজি চাষ এবং পশুপাখি পালনে দারুন সফলতা পেয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এমনকি স্থানীয় জনগোষ্ঠিও জীবীকা নির্বাহের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন নতুন এই চরে।
সাত সকালে আড়মোড়া ভেঙে সবুজ প্রান্তরে ছোটে ভেড়ার পাল।
দুদিন আগেও দলবলে এতোটা ভারি ছিলো না তারা। সামান্য পরিচর্যায় অল্পদিনেই প্রজনন বেড়েছে ভেড়ার। ভাসানচরের মাটিতে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গার সাময়িক জীবিকা নির্বাহের এমন আরো নানা রকম পথ বের করেছে সরকার।প্রকল্প পরিচালক কমোডর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরি জানান, দুই বছরের পরীক্ষামূলক এই প্রকল্পে ব্যপক সফলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নোনা জল টপকে গেল দুই বছর মিষ্টি পানির সরবরাহ ঘটেছে ভাসানচরে। পুকুরগুলোতে তপ্ত দুপুরে রাজত্ব করছে রাজহাঁসের দল। মাছ চাষের জন্য একটি বড়, দুইটি মাঝারি আকৃতির সুপেয় পানির লেক ছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক জলাধার তৈরি করা হয়েছে। শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি কবুতর ও মুরগি পালনে দারুন সাফল্য পেয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। আছে ক্ষদ্র ও কুটির শিল্পের মতো অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গড়ে তোলার ইচ্ছাও।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার মাধ্যমেই এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি (ভিডিও)
চরটি জেঁগে ওঠার শুরুর দিকেই পার্শ্ববর্তি সন্দীপ থেকে মহিষ চরাতে আসতেন স্থানীরা। প্রাকৃতিকভাবে এদের খাবারের পর্যাপ্ত সংস্থান থাকায় এখনো চরটিতে প্রায় ৬ হাজার মহিষ চরান স্থানীয়রা।
রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে স্বনির্ভরতা অর্জনের পাশাপাশি এই চর ঘিরে জীবিকা নির্বাহের এক নতুন সম্ভাবনা দেখেছেন পাশ্ববর্তী চরাঞ্চলের মানুষ।
news24bd.tv আহমেদ