কমছে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স

সুলতান আহমেদ

দুশ্চিন্তা বাড়ছে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সে। টানা ছয় মাস ধরে কমছে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ। কি কারণে কমছে তার সদুত্তর নেই কারো কাছেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়ায় আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে হুন্ডি চক্র।

করোনার প্রভাবে যে সব শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছিলেন তাদের ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা দেয়া এবং নতুন দেশের সাথে চুক্তি করার উপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

মহামারি করোনার সময়েও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বড় অবদান রেখেছে প্রবাস থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স। শুধু তাই নয় প্রায় এক কোটি প্রবাসীর পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার প্রভাবেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর। তবে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই আশংকাজনক হারে কমে আসতে শুরু করে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেব বলছে, গেল জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৭ কোটি ডলার, যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৮ শতাংশ কম। আগস্ট থেকে নভেম্বরেও এই ধারা অব্যাহত ছিল। সবশেষ ডিসেম্বরে কিছুটা প্রবৃদ্ধি এলেও পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩৯ শতাংশ পূরণ হয়েছে অর্ধবছরে। সবমিলে এই ছয় মাসে রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ।

মহামারির শুরুর দিকে প্রবাসী অনেক শ্রমিক ছুটি নিয়ে দেশে চলে আসে। ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন তারা।

আরও পড়ুন:


পাকিস্তানে ভারী তুষারপাতে যানবাহন আটকে ২২ পর্যটকের মৃত্যু


তবে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ ধরা হচ্ছে হুন্ডিকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারির পর আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে হুন্ডি চক্র। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে সরকারকে কৌশলী হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তবে দীর্ঘ মেয়াদে রেমিট্যান্স ধরে রাখতে শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুন দেশে শ্রমিক পাঠানোর কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

news24bd.tv রিমু