খন্ড বিখন্ড জোট এবং ফ্রন্ট নিয়ে বিব্রত নেতৃত্বে থাকা রাজনৈতিক দল বিএনপি। জোটের মধ্যে কোন দলে ধরেছে ভাঙ্গন, আবার কোন দলের কার্ক্রম কেবল গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয়াতেই সীমাবদ্ধ। এর মাঝে মুল দল বিএনপির কার্যক্রম নিয়েও আঙ্গুল তুলেছে ফ্রন্ট আর জোটের নেতারা।
তারা বলছে, পুরো করোনাকালে ২০ দলীয় জোটের কোন বৈঠক হয়নি।
কার্যক্রম নেই ঐক্যফ্রন্টেও। অবশ্য বিএনপি মহাসচিব, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, জোট কখনও চিরস্থায়ী নয়।সম্প্রতি ভাঙ্গনের শনি লেগেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট আর ফ্রন্টের ভেতর। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরাম পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারে দুই খন্ডে বিভক্ত।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইব্রাহীম বলছেন, কোন নির্দেশনা দিয়ে অন্যের ভবিষ্যৎ নষ্ট না করে জোটের যারা ২০১৪ ও ১৮ সালে বড় ধরণের ত্যাগ স্বীকার করেছিলাম তারা নতুন করে ভাবার সিদ্ধান্ত নিবো।
এলডিপ’র সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলছেন, কেউ বেরিয়ে যাচ্ছে কেউ আবার ২০ দলের সাথেই রয়ে যাচ্ছে এই ভাবে খন্ড বিখন্ড হয়ে কিছু হবে না।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, ফ্রন্টের নিজ নিজ দলের ভেতরকার কোন্দল যাই থাকুক না কেন, মূলদল বিএনপিও মাঠে নেই। নাগরিক ঐক্যের আহ্ববায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলছেন, ঐক্য ফ্রন্টের এসব ছোট খাট ভাঙ্গন কোন ব্যাপার না। কিন্তু বড় ব্যাপার হল মূল যে দল বিএনপি তারা মাঠে নেই। তারা মাঠে থাকলে এসব কোন কিছুতেই কিছু হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই ২০ দল ছেড়েছে আন্দালিব রহমান পার্থের দল বিজেপি। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্ট ছেড়েছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। জোটের অন্যতম বড় শরিক জামায়াতের কিছু নেতাও সম্প্রতি দল থেকে বেরিয়ে এবি পার্টি নামে নতুন দল গড়ার ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সাথে দূরত্ব বাড়ছে ১৪ দলের
জোট-ফ্রন্টের শরিক দলগুলোর এমন বেহাল অবস্থায় উদ্বিগ্ন বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নিউজ টোয়েন্টিফোরকে এ প্রসঙ্গে বলেন, জোট চিরস্থায়ী নয়। তবে তারা জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাস করেন।
তিনি বলেন, যে দাবিতে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, দেশের সেই সংকট আরো তীব্র হয়েছে, ফলে জোটবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার দৃশ্যমান না হলেও, তা ভেঙ্গে পড়েনি।
news24bd.tv আহমেদ