শতবর্ষের পুরনো পোড়াদহের জামাই মেলা

ছবি- সংগৃহীত

শতবর্ষের পুরনো পোড়াদহের জামাই মেলা

অনলাইন ডেস্ক

পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মেলাকে জামাই মেলাও বলা হয়ে থাকে। এই উপলক্ষে আশপাশের গ্রামে চলে উৎসব। আগে থেকেই আসতে শুরু করেন মেয়ে জামাইসহ আত্মীয়স্বজন।

তবে এ মেলার প্রধান আকর্ষণ নানা প্রজাতির বিশাল আকৃতির মাছ।

বড় জাতের প্রায় সব ধরণের মাছই পাওয়া যায় এ মেলায়। শুধু মাছই নয়, মিষ্টি থেকে কাঠের ফার্নিচার সব কিছুই পাওয়া যায় এই মেলাতে।

কিন্তু এ মেলার একটি রেওয়াজ রয়েছে। এখানে জামাইকে মেলার বাজার করতে হয়।

অনেক গরিব জামাইকে শ্বশুরই টাকা দেন মেলার বাজার করতে। জামাইরা মেলাতে গিয়ে বড় মাছসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বাজার করেন শ্বশুরবাড়ির জন্য।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলা গাড়ীদহ নদী ঘেঁষে প্রতিবছর এ পড়াদহ মেলা বসে মাঘ মাসের শেষ বুধবার। কথিত রয়েছে  প্রায় ২০০ বছর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সন্ন্যাসীরা বগুড়ার গাবতলী উপজেলার গাড়ীদহ নদী ঘেঁষে আস্তানা গাড়েন। এর প্রায় ৫০ বছর পর স্থানীয়রা এখানে সন্ন্যাসী পূজার পাশাপাশি গোড়াপত্তন করেন ঐতিহ্যবাহী এই মেলার।

সেই থেকে বর্তমানে এ মেলাটির সর্বজনীন মেলা হিসেবে বগুড়াসহ আশপাশে জেলায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। সব জাতি বর্ণের মানুষ আসেন এ মেলায় কেনাকাটা করার জন্য।


মহামারি পৌঁছায়নি মক্কা ও মদীনার দুই পবিত্র মসজিদে

বিচার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনছে সৌদি আরব

ট্রাম্পের শয্যাসঙ্গী হওয়া ছিল সবচেয়ে বিরক্তিকর, দাবি পর্নতারকার

ভিয়েতনামের হাতে ধরা অপরূপ সোনালি সেতু


এক সময় এই মেলার পরিধি ছিল প্রায় একশ একর জমির উপর। সরকারি সামান্য জমির পাশাপাশি আশপাশের জমি কয়েকদিনের জন্য লিজ নিয়ে মেলা কমিটি বড় পরিসরে মেলা বসাতেন। কালের বিবর্তনে মেলার আয়তন কমতে কমতে এখন পঞ্চশ একরে কম এসে ঠেকেছে। তবে মেলা নিয়ে আগ্রহ উৎসবের কমতি নেই এলাকাবাসীর।

গাড়ীদহ নদীর পার্শ্বে সন্ন্যাসী মন্দিরের পুরোহিত এবং পূজারীরা জানান, প্রায় ২০০ বছরের পুরানো এ স্থানে সন্ন্যাসীদের আগমন ঘটেছিল এই স্থানে। এরপর মন্দির তৈরি করে পূজা অর্চনা করা হতো। সেই থেকে প্রতিবছরই মাঘ মাসের শেষ মঙ্গলবার বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত মন্দির প্রাঙ্গণে পূজার আয়োজন থাকে।

news24bd.tv / নকিব